থাইল্যান্ডের একটি আদালত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাভিসিনকে নৈতিকতার মানদণ্ড লঙ্ঘনের দায়ে পদচ্যুতির রায় দিয়েছে। আদালতের নির্দেশে এক সপ্তাহ আগে প্রধান বিরোধী দল ভেঙে দেওয়া হয়। সর্বশেষ এই পদক্ষেপে থাই রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
শ্রেত্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার ক্যাবিনেটে এমন একজনকে স্থান দিয়েছিলেন, যিনি আদালতের এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন। এই অভিযোগ সূত্রে তার বিরুদ্ধে পদচ্যুতির রায় দিয়েছে সাংবিধানিক আদালত।
আদালতে শ্রেত্থার বিপক্ষে ৫ ও পক্ষে ৪ ভোট পড়ে।
পার্লামেন্ট নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার আগ পর্যন্ত বর্তমান ক্যাবিনেট তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর পদ পূরণের জন্য কোনো সময়সীমা নেই।
ক্যাবিনেটে রদবদল ঘটিয়ে এপ্রিলে পিচিত চুয়েনবানকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্যতম মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন শ্রেত্থা। আদালত অবমাননার দায়ে ২০০৮ সালে পিচিতকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ মতে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এক মামলার সূত্রে পিচিত বিচারককে বাজারের ব্যাগে করে ৫৫ হাজার ডলার ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনা সূত্রে নতুন করে সমালোচনা শুরু হলে নিয়োগ পাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর পিচিত তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আদালত বলছে, যদিও পিচিত ইতোমধ্যে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন, তা সত্ত্বেও, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, তাঁর ব্যবহার অসৎ ছিল।
আদালত রায় দিয়েছে, ক্যাবিনেটের মনোনয়নপ্রাপ্তদের যোগ্যতা যাচাই করার একমাত্র দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থার। আদালত আরও জানায়, তিনি পিচিতের অতীতের বিষয়ে জানা সত্ত্বেও তাকে মনোনয়ন দেন। যার ফলে, আদালত রায় হল, তিনি নৈতিকতার মানদণ্ড লঙ্ঘন করেছেন।