রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের কুরস্ক অনুপ্রবেশকে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে মস্কোর আক্রমণ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার একটি প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করে সোমবার বলেন, এটা আড়াই বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলোচনায় আরও ভালো অবস্থান অর্জনের একটি প্রচেষ্টা।
কিয়েভের শীর্ষ সমর্থক ওয়াশিংটন সংঘাতে ইরানি যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে মস্কোকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ায় আঘাত হানার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহার করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তারা তেমন কিছু বলেনি।
রাশিয়ার জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ৬ আগস্ট ইউক্রেনীয় সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র সীমান্ত অতিক্রম করে রাশিয়ার ভেতরে ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল)-এর মতো অনুপ্রবেশ করার পর এক লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার মাটিতে এটিই সর্ববৃহৎ হামলা।
কুরস্ক সংলগ্ন বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ইউক্রেন সীমান্তের নিকটবর্তী একটি জেলা থেকে লোকজন সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
হামলা চালানোর পর ইউক্রেনীয় বাহিনী সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) দূরে সুদজা শহরে দ্রুত প্রবেশ করে। তারা এখনো শহরের পশ্চিম অংশটি ধরে রেখেছে বলে জানা গেছে। সুদজায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক গ্যাস ট্রানজিট স্টেশন আছে।
রাশিয়ায় জীবনযাত্রা ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে প্রভাবিত হয়নি- ইউক্রেনের এই আগ্রাসন পুতিনের এমন ভান করার প্রচেষ্টায় আঘাত হেনেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম এই আক্রমণকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করেছে, তারা এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের সহায়তা করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছে এবং আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হতে ও দ্রুত এটি প্রতিহত করতে সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতাঁর ওপর থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে।
বিশ্লেষকরা এখন পুতিনের প্রতিক্রিয়ার ওপর গভীরভাবে নজর রাখছেন। তাদের আশঙ্কা, পুতিন রাশিয়ার সীমান্তবর্তী একটি নেটো রাষ্ট্রকে আক্রমণ করার জন্য এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা আনিটা পাওয়েল এবং কিম লুইস এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে