ইরানকে ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান নাকচ

তেহরানে ফিলিস্তিন স্কোয়ারের পাশে বিলবোর্ডে হামাসের নতুন নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছবির পাশ দিয়ে মানুষ হেঁটে যাচ্ছে (১২ আগস্ট, ২০২৪)

হামাস নেতা হত্যার প্রতিক্রিয়া দেখানোর ক্ষেত্রে তেহরানকে ধৈর্যশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব নাকচ করে জানিয়েছে, দেশগুলোর আহ্বানে “রাজনৈতিক যুক্তির অভাব রয়েছে এবং এটি আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতি পরিপন্থী”।

সোমবার এই তিন ইউরোপীয় দেশ এক যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে ইরান ও তার মিত্রদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, “জায়নিস্ট শাসকদের (ইসরায়েল) অপরাধে কোনো আপত্তি না জানিয়ে ই-থ্রির দেয়া বক্তব্য বলছে যে ইরান যেন নির্বোধের মতো তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি হুমকির জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকে।”

কানানি প্যারিস, বার্লিন ও লন্ডনকে “একবারের জন্য হলেও গাজার যুদ্ধ ও ইসরায়েলের যুদ্ধাংদেহী মনোভাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে” আহ্বান জানান।

ইরানের প্রেসিডেন্ট সোমবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে জানান, হামাস কর্মকর্তা ইসমাইল হানিয়েকে হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলকে পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের এবং এ ধরনের জবাব ভবিষ্যত আগ্রাসনকে নিরুৎসাহিত করবে। ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম ইরনার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

অপরদিকে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কার্বি সতর্ক করেন, ইসরায়েল ও তার মিত্রদের ইরানের কাছ থেকে “উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হামলার” জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবং এই হামলা “এ সপ্তাহেই” আসতে পারে।

ধৈর্যশীল থাকার আহ্বানের পাশাপাশি ইউরোপীয় নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য “সম্পূর্ণ সহযোগিতা” দেবেন এবং গাজায় মানবিক ত্রাণের সরবরাহ অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

তারা একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের উদ্যোগে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধের চুক্তিতে পৌঁছানোর উদ্যোগে সমর্থন জানিয়েছেন।

কার্লা বাব ও কিম লুইস মূল প্রতিবেদনে কাজ করেছেন। কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স ও এএফপি থেকে নেওয়া হয়েছে।