ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের ঘনিষ্ঠতম রাজনৈতিক সহযোগী হিসেবে প্রথম ভাষণে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ তার (হ্যারিস) দিকে মুখ ঘুরিয়ে ঘোষণা করেন, “আনন্দ ফিরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ।” পরদিন, হ্যারিস এই ব্যাপারটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ডেমোক্রটিক প্রার্থীদের “আনন্দময় যোদ্ধা” বলে তুলে ধরেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র দেখা গেছে। কয়েকদিন পর ফ্লোরিডায় তার মার-এ-লাগো ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য শুরু করেন এই বলে যে, “আমাদের সামনে অনেক খারাপ কিছু আসতে চলেছে” এবং পূর্বাভাষ দেন, যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়তে পারে; ১৯২৯-এর অন্ধকারময় দিন বা এমনকি আরও একটা বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেন, “আমার মনে হয়, অর্থনৈতিক দিক থেকে, নিরাপত্তার দিক থেকে আমাদের দেশ সর্বকালের মধ্যে এখন সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থানে রয়েছে।”
ডেমোক্র্যাটরা তাদের উচ্ছ্বল ও প্রাণবন্ত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করছেন এবং এই ধারণা প্রচার করছেন যে, প্রতিদ্বন্দ্বির বিরুদ্ধে কেবলমাত্র ভোট দিয়ে নয়, বরং কাউকে সমর্থন করার বিষয়ে ভোটারদের উৎসাহিত করা যেতে পারে। ট্রাম্পের প্রচারণা বিভাগের যুক্তি, তাদের প্রার্থী দেশের জেদি মনোভাবের প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন এবং এই ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করছেন যে আশাবাদী মনোভাবের ক্রমবর্ধমান ফারাক প্রেসিডেন্টের পদ নির্ধারণ করবে।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ-এর গত মাসের এক জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, আমেরিকানদের দুই-তৃতীয়াংশ জানিয়েছেন, রাজনীতির অবস্থা নিয়ে তারা ভীষণ বা কিছুটা হতাশ বোধ করছেন। ১০ জনের মধ্যে মোটামুটি ৭ জন বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি ভুল দিকে যাচ্ছে।
সাবেক প্রেসিডেন্টের সিনিয়র উপদেষ্টা জেসন মিলার বলেছেন, জনগণ ভাইব নিয়ে চিন্তা করেন না।
মিলার আরও বলেন, “এতে গ্যাস বা খাদ্য বা আবাসনের দাম কমবে না।”
মিনেসোটার গভর্নরের নিরলস ইতিবাচকতার অর্থ হল সমর্থকদের নতুন উদ্দীপনায় ঝাঁকুনি দেওয়া এবং হ্যারিস যে গতি তৈরি করেছেন তা ধরে রাখা।
ওয়ালজকে তার ঘনিষ্ঠতম রাজনৈতিক সহযোগী ঘোষণা করার আগেও হ্যারিস বলেছেন, রাজনীতিকে আবার মজাদার করে তুলতে তিনি সাহায্য করতে পারেন।
ওয়ালজকে তুলে আনার আগে প্রচার-ভাষণে হ্যারিস ঘোষণা করেছিলেন, “আমরা আমাদের দেশকে ভালবাসি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দেশের আদর্শের জন্য লড়াই করাই দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ রূপ।” তিনি এখন জনতাকে বলছেন, তিনি ও তার ঘনিষ্ঠম রাজনৈতিক সঙ্গী “উভয়েই মানুষকে উপরে তোলায় বিশ্বাসী, তাদের নিচে ফেলে দেওয়ায় নয়।”