যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে সাবমেরিন পাঠাচ্ছে, বিমানবাহী রণতরীকে দ্রুত এলাকায় পৌঁছানোর নির্দেশ

ফাইল ফটোঃ যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী ২০১৯ সালের ১৭ মে এই ছবি প্রকাশ করে, যেখানে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন (সিভিএন ৭২) এবং ওয়াস্প-ক্লাস উভচর অ্যাসল্ট জাহাজ ইউএসএস কেয়ারসার্জ (এলএইচডি ৩) দেখা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মধ্যপ্রাচ্যে একটি গাইডেড মিসাইল সাবমেরিন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপকে ওই এলাকায় আরও দ্রুত যাত্রা করতে বলেছেন বলে ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট রবিবার জানায়।

তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া ও বৈরুতে হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা প্রশমনে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্ররা ইসরায়েল ও হামাসকে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ দেয়ার প্রেক্ষাপটে এ পদক্ষেপ নেয়া হলো।

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার এক বিবৃতিতে বলেন, অস্টিন দিনের শুরুতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সাথে কথা বলেছেন এবং “ইসরায়েলকে রক্ষার জন্য প্রতিটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিতে আমেরিকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক উত্তেজনার আলোকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর অবস্থান এবং সক্ষমতা” জোরদার করার কথা উল্লেখ করেছেন।

এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে থাকা লিংকনকে ইতোমধ্যে ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট বিমানবাহী রণতরী স্ট্রাইক গ্রুপের পরিবর্তে ওই অঞ্চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। থিওডোর রুজভেল্ট-এর মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। অস্টিন বলেছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে লিংকন সেন্ট্রাল কমান্ড এলাকায় পৌঁছাবে।

তার সর্বসাম্প্রতিক আদেশের অর্থ কী বা লিংকন আরও কত দ্রুত মধ্যপ্রাচ্যে কাজ শুরু করবে তা রবিবার পরিষ্কার ছিল না। বিমানবাহী রণতরীটিতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং এফ/এ- ১৮ যুদ্ধবিমানও রয়েছে।

ইউএসএস জর্জিয়া গাইডেড মিসাইল সাবমেরিনটি কত দ্রুত ওই অঞ্চলে পৌঁছাবে তাও রাইডার জানাননি।

এই আদেশ দেয়া হল গাজার একটি স্কুলে অবস্থিত আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলার একদিন পর। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হয়, যেটা ছিল ১০-মাসব্যাপী ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হামলার অন্যতম