সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত শাহবাগে বিক্ষোভ

Your browser doesn’t support HTML5

বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা।

শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো এ বিক্ষোভ চলছে।

সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

শত শত মানুষের অংশগ্রহণে এই বিক্ষোভে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সংখ্যালঘুদের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

শুক্রবার শাহবাগে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশের পরে শনিবারের বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে প্রতিনিধি বাড়ানো এবং সংখ্যালঘুদের জন্য নিবেদিত একটি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন ও সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিও জানান তারা। মূল দাবি ছিল সংসদীয় আসনের ১০ শতাংশ সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মধ্যে বরাদ্দ করা।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ৫২টি জেলায় ২০৫টি সহিংস ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) চিঠিটি উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সভাপতি নির্মল রোজারিও। রোজারিও বলেন, "আমাদের কাছে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে, এ পর্যন্ত ৫২টি জেলায় অন্তত ২০৫টি সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে।"

"আমরা সারা রাত জেগে বাড়ি ও মন্দির পাহারা দিই। আমি আমার জীবনে এমন ঘটনা দেখিনি। আমরা প্রশাসনের কাছে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।"

চিঠিতে দাবী করা হয়েছে, দেশের সংখ্যালঘুদের মধ্যে শঙ্কা, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা ছড়িয়ে পড়েছে।