মিয়ানমারে একটি আঞ্চলিক কমান্ড ঘাঁটি হারিয়েছে জান্তা

মিয়ানমারের লাশিওতে সেনা অফিসাররা টহল দিচ্ছে। ২৯ মে, ২০১৩। ফাইল ছবি।

বিশেষজ্ঞরা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো জুনে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বড় ধরনের ‘ঐতিহাসিক’ সাফল্য অর্জন করছে।

গোষ্ঠীগুলোর সাম্প্রতিক বিজয়ের কেন্দ্রবিন্দু ছিল গত সপ্তাহান্তে দখল করা শান রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক কমান্ডের সদর দপ্তর লাশিও।

লাশিও দেশজুড়ে ১৪টি আঞ্চলিক কমান্ডের মধ্যে একটি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর এটি প্রথম কমান্ড যার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে প্রতিরোধ গোষ্ঠীরা।

প্রায় দেড় লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই শহরটি সামরিক বাহিনীর হারানো সবচেয়ে বড় শহর। এখান দিয়ে গেছে মান্দালয় ও চীনের সাথে মধ্যকার প্রধান বাণিজ্য সড়ক।

গত বছরের ২৭ অক্টোবর শানভিত্তিক জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও আরাকান আর্মি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান শুরু করে।

কয়েক মাসের মধ্যে শানের উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা দখল করার পর তথাকথিত থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স জানুয়ারিতে চীনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও জুনে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আবার আক্রমণে ফিরে এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বছরের শুরুতে সেনাবাহিনীর ক্রমহ্রাসমান পদ চাঙ্গা করতে ব্যাপক অজনপ্রিয় বাধ্যতামূলক নিয়োগ অভিযান শুরু হলেও বিশ্লেষকরা বলছে, যুদ্ধে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর অনুকূলে গতি এসেছে।

অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো জান্তাকে দেশের সীমান্ত থেকে দূরে দূরে ঠেলে দিচ্ছে এবং কেন্দ্রে তাদের শক্ত ঘাঁটির কাছাকাছি চলে আসছে।