গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের নতুন হামলা; যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য চাপ অব্যাহত

খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলার পর ধোঁয়া উড়ছে। ৮ আগস্ট, ২০২৪।

শুক্রবার ইসরায়েলি সেনারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে নতুন হামলা শুরু করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, বারবার আক্রমণ সত্ত্বেও হামাস এখনো সেখানে কার্যকর আছে। এদিকে আমেরিকান,কাতার এবং মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীরা ইসরায়েল এবং হামাসকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য পুনরায় চাপ দিচ্ছে।

ইসরায়েলের সরে যাওয়ার আদেশের ফলে খান ইউনিসে ব্যাপকভাবে বিধ্বস্ত পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো থেকে ফিলিস্তিনিরা আবার পালিয়ে যেতে শুরু করে। জুলাইয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সর্বসাম্প্রতিক আক্রমণের পরে দুই সপ্তাহের কম সময় ধরে তারা সেখানে অবস্থান করছিল।

বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ ছোট গ্যাস সিলিন্ডার, তোশক, তাঁবু, ব্যাকপ্যাক এবং কম্বলের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, তাদের বিশ্বাস, হামাসের নতুন শীর্ষ নেতা এবং ইসরায়েলে ৭ অক্টোবরের হামলার অন্যতম স্থপতি ইয়াহিয়া সিনওয়ার খান ইউনিসের কোনো এলাকায় সুড়ঙ্গে লুকিয়ে থাকতে পারে।

গাজায় ১০ মাস যুদ্ধের পর মধ্যস্থতাকারীদের এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধবিরতির জন্য পরোক্ষ আলোচনা পুনরায় শুরু করা। সিনওয়ারের পূর্বসূরী ইসমাইল হানিয়ে ৩১ জুলাই তেহরানে ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার পর থেকে এ আলোচনা স্থগিত ছিল।

বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় নিশ্চিত করেছে, মধ্যস্থতাকারীরা ১৫ আগস্ট কাতারের রাজধানী দোহা বা মিশরের রাজধানী কায়রোতে যে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে সেখানে তারা আলোচক পাঠাবে।

হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার তারা ঘোষণা করেছে, গাজায় সিনওয়ার তাদের নেতা হানিয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন। হানিয়ে এর আগে আলোচনায় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছিলেন।

এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতার দোহা অথবা কায়রোতে নতুন দফা আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছে এবং উভয় পক্ষকে আলোচনার যোগ দেয়ার জন্য চাপ দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।