যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা নভেম্বর নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমালা হ্যারিস এবং তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ১০ সেপ্টেম্বরে এবিসি নিউজে প্রাইম-টাইম টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হতে সম্মত হয়েছেন।
এনবিসি নিউজ দ্বিতীয় বিতর্কের সম্ভাবনা নিয়ে উভয় দলের প্রচারণা বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করছে।
এদিকে, ট্রাম্প এক দীর্ঘ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার ও হ্যারিসের ঘনিষ্ঠতম রাজনৈতিক সহযোগী (রানিং মেট) যথাক্রমে ওহাইয়োর সিনেটর এবং মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কসভা আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে সিবিএস নিউজ।
ট্রাম্প বলেছেন, ৪ সেপ্টেম্বরে ফক্স নিউজে এক বিতর্কের প্রস্তাব তিনি গ্রহণ করেছিলেন, তবে হ্যারিসের প্রচারণা বিভাগ রাজি হয়নি। উল্লেখ্য, ফক্স নিউজে একদল রক্ষণশীল রাজনৈতিক ভাষ্যকার তার নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন।
হ্যারিস ও ট্রাম্পের বিতর্ক ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে উঠতে চলেছে। এই বিতর্ক অনুষ্ঠান নিশ্চিতভাবেই লক্ষ লক্ষ ভোটার দেখবেন যাদের অন্তত একাংশ ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেননি কাকে ভোট দেওয়া যেতে পারে।
জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভার্চুয়াল পরিসরে এই বিতর্ক নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। তবে, হ্যারিস সম্ভবত এগিয়ে রয়েছেন।
ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মধ্যে একটি বিতর্ক ইতোমধ্যেই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
৮১ বছর বয়সী বাইডেন ট্রাম্পের সঙ্গে ২৭ জুনের বিতর্কে হোঁচট খেয়েছেন। মাঝেমধ্যেই তিনি চিন্তার তাল ও খেই হারিয়ে ফেলেছেন এবং ট্রাম্পের উপর আক্রমণ চালিয়ে যেতে বা নিজের সাড়ে তিন বছরের মেয়াদ সম্পর্কে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরতে পারেননি।
ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলন চলাকালে অসংখ্য মিথ্যা বলেছেন। এই মিথ্যাচারগুলির একটি নমুনা হল, তিনি দাবি করেছেন, উইসকনসিন ও মিশিগানে হ্যারিসের বুধবারের সভায় মাত্র দেড় হাজার মানুষ হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু সত্য হল, সেখানে হাজার হাজার আগ্রহী জনতা উপস্থিত হয়েছিলেন।
তিনি দাবি করেছেন, “দেশের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আমাকে সমর্থন করেন।” অথচ ২০১৬ সালে ও চার বছর আগে তার প্রেসিডেন্সিয়াল প্রচারণার কোনটিতেই তিনি ‘পপ্যুলার’ ভোট জিততে পারেননি।
হ্যারিস-ওয়ালজ জুটি তাৎক্ষণিকভাবে একাধিক রাজ্য সফরে বেরিয়ে পড়েছেন। তারা এমন আধ ডজন রাজ্যে সফর করছেন যে রাজ্যগুলি হোয়াইট হাউসের দখল কে নেবেন তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রচারণার জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প ফ্লোরিডাতে রয়েছেন।