মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে আলোচনায় বসছেন বাইডেন

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সেনাদের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। (ছবিঃ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী/এএফপি)

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার তার জাতীয় নিরাপত্তা দলের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা এবং জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। অন্যদিকে ইরান বা এই অঞ্চলে তাদের প্রক্সিগুলোর সম্ভাব্য পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্বেগের মধ্যে ইসরায়েলি নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, তাদের ওপর আক্রমণ করা হলে ইরানকে এর “চড়া মূল্য” দিতে হবে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ইরান “এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে চায় না,” তবে গত সপ্তাহে তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়ে নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলকে শাস্তি দেয়ার অধিকার তাদের আছে।

বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর এক কমান্ডার নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর হানিয়ে হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে ইরান।

রবিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইরান ও তার প্রক্সিগুলো ইসরায়েলের “সন্ত্রাসের মাধ্যমে গলা টিপে ধরতে” চাইছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা, ব্রিটেন, জর্ডান, তুরস্ক ও জাপান সোমবার তাদের নাগরিকদের লেবানন ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে।

রবিবার জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি ইরান সফরে গিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির অবসান ঘটিয়ে এই অঞ্চলকে “শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা” বজায় রাখার আহ্বান জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন রবিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়য়াভ গ্যালান্টের সাথে কথা বলেছেন। অস্টিন লেবানন ভিত্তিক হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেন-ভিত্তিক হুতিদের মতো ইরানি প্রক্সিগুলোর “হুমকির বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সুরক্ষা এবং আত্মরক্ষার অধিকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো সমর্থন” পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনের আশু প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করতে রবিবার জি-সেভেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ব্লিংকেন ও অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং সংঘাত যাতে না বাড়ে সেজন্য সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।