রাশিয়া থেকে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া তিনজন আমেরিকানকে বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটনের বাইরে বেস অ্যান্ড্রুসে তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় একত্রিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মেরিন পল হুইলান, সাংবাদিক আলসু কুরমাশেভা এবং ইভান গার্শকোভিচ বিমান থেকে নামার সময় তাদের স্বাগত জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস মুক্তিপ্রাপ্ত আমেরিকানদের শুভেচ্ছা জানান।
ঐতিহাসিক বন্দী চুক্তির ফলে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ১৬ জন রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি নিশ্চিত করেছে। তাদের মধ্যে তিনজন আমেরিকান ও স্থায়ী বাসিন্দা এবং পুলিতজার বিজয়ী কলামিস্ট ভ্লাদিমির কারা-মুর্জা রয়েছেন। তার আলাদাভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার কথা ছিল।
এই চুক্তিতে ডিয়েটার ভোরোনিন, কেবিন লিক, রিকো ক্রিগার, প্যাট্রিক শোয়েবেল, হারমান মোয়েজেস, ইলিয়া ইয়াশিন, লিলিয়া চ্যানিশেভা, কেসেনিয়া ফাদিয়েভা, ভাদিম ওস্তানিন, আন্দ্রে পিভোভারভ, ওলেগ অরলভ এবং সাধা স্কোচিলেঙ্কোসহ জার্মান নাগরিক এবং রাশিয়ান রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তিও নিশ্চিৎ হয়।
বিনিময়ে রাশিয়া পেয়েছে আটজনকে।
স্নায়ুযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বন্দী বিনিময়।
আমেরিকানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে আটক ছিলেন সাবেক আমেরিকান মেরিন সেনা পল হুইলান, যাকে ২০১৮ সালে মস্কো থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।তিনি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে। ২০২০ সালে তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে একটি পেনাল কলোনিতে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক গার্শকোভিচ এবং রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টির সাংবাদিক কুরমাশেভা উভয়কেই ২০২৩ সালে আটক করা হয়েছিল এবং ১৯ জুলাই পৃথক রুদ্ধদ্বার বিচারে তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। এই রায়কে প্রহসনমূলক বলে তখন ব্যাপক নিন্দা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ক্রেমলিন বার্লিনে একজন চেচেন ভিন্নমতাবলম্বীকে হত্যার জন্য ২০১৯ সালে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে জার্মানিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাশিয়ান ভাদিম ক্রাসিকভের মুক্তির জন্য আলোচনা করেছিল। এর আগে তিনি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মারা যাওয়া বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দৌড়ে ছিলেন।
এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশ থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, “মাতৃভূমিতে ফিরে আসার জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাতে চাই।”