যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়া কোম্পানিদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, বিপজ্জনক ভুয়া তথ্য ছড়ানোর ব্যাপারে আইন কানুন তাদের মেনে চলতে হবে। ইংল্যান্ডের পশ্চিমে উপকূলীয় শহর সাউথপোর্টে সাম্প্রতিক দাঙ্গার জন্য এক ছুরি আক্রমণ ঘিরে অসমর্থিত তথ্য ছড়ানোকে দায়ী করা হয়।
লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিট-এ তাঁর অফিস এবং বাসভবন থেকে জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে স্টারমার, সোমবারের ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর দুই রাত ব্যাপী সহিংসতার জন্য সামাজিক মাধ্যমগুলোর ভূমিকার দিকে আঙ্গুল তোলেন।
“বড় বড় সোশাল মিডিয়া কোম্পানি এবং যারা সেগুলো পরিচালনা করে তাদের আমি বলছিঃ অনলাইনে যখন সহিংসতার প্ররোচনা দেয়া হয়, সেটাও একটা অপরাধ,” ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন।
“এটা আপনাদের জায়গায় হচ্ছে, এবং আইন সব জায়গায় মেনে চলতে হবে,” তিনি বলেন।
ধর্ম নিয়ে গুজব
সোমবারের ছুরিকাঘাতে তিন মেয়ে শিশু নিহত এবং আরও পাঁচজন বাচ্চা মারাত্মক আহত হয়।
বৃহস্পতিবার অ্যাক্সেল রুডাকুবানা নামের এক ১৭ বছর বয়সীর বিরুদ্ধে কয়েকটি হত্যা এবং হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।
সন্দেহভাজনের পরিচয়, তার ধর্ম এবং অতীতসহ তার সম্পর্কে ভুয়া তথ্য ছড়াতে সাহায্য করার জন্য এক্স-এর মত সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম-এর ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তিনি মুসলিম বা একজন অভিবাসী ছিলেন, এমন গুজব ছুরি আক্রমণ ঘিরে ক্ষোভ তীব্র করে এবং দাঙ্গাবাজরা সাউথপোর্ট সহিংসতার সময় একটি মসজিদে হামলা চালায়।
স্টারমার তাঁর মন্তব্যে বলেন, সামাজিক মাধ্যমকে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং ভুয়া তথ্য মোকাবেলার মধ্যে “একটি ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।”
তবে তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, “অনলাইনে সহিংসতায় প্ররোচনা দেয়া একটা ফৌজদারি অপরাধ এবং সেটা বাক স্বাধীনতার বিষয় না। এটা ফৌজদারি অপরাধ।”
ব্রিটিশ নেতা বলেন সামাজিক মাধ্যমের সেবা “একটা দারুণ সুযোগ যেটা আমরা দেশ হিসেবে সবাই উপভোগ করি,” কিন্তু তিনি সতর্ক করে বলেন, “এখানে একটা দায়িত্বও রয়েছে।”
স্টারমার ব্রিটেনের বিভিন্ন এলাকার পুলিশ বাহিনী প্রধানদের সাথে সোমবারের ঘটনার পর দু রাতের অসন্তোষ নিয়ে আলোচনা করার পর ভাষণ দেন।
আলোচনা শেষে তিনি “আমাদের রাজপথ নিরাপদ রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ” নেবার অঙ্গিকার করেন।