নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে লাখ লাখ নতুন আমেরিকান প্রথমবারের মতো ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের (এআইসি) মতে, “যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি চারজন ন্যাচারালাইজেশন-যোগ্য অভিবাসীর মধ্যে ৩ জনের বেশি ন্যাচারালাইজেশনকৃত নাগরিক হয়েছেন। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যে ন্যাচারালাইজেশন যোগ্য অভিবাসীদের সংখ্যা ২০২০ সালের প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে এই রাজ্যগুলোর জয়ের মার্জিন ছাড়িয়ে গেছে।”
অন্য কথায়, এআইসি অনুসারে, বিশেষত অভিবাসী জনসংখ্যার সুইং রাজ্যগুলোতে নতুন নাগরিকরা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
অ্যারিজোনায় ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে নাগরিকত্ব পাওয়া নতুন নাগরিকরা চার বছর আগে ওই অঙ্গরাজ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের ব্যবধানের ছয়গুণের বেশি।
অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ভোটের নির্বাহী পরিচালক ব্রায়ান মিলার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অনেকগুলো রাজ্যতে চলছে, সুইং ভোটের চেয়ে অভিবাসী জনসংখ্যা বেশি। তাই এটি স্থানীয় এবং জাতীয় উভয় দৌড়ের ওপর প্রচুর প্রভাব ফেলতে পারে।”
এশিয়ান আমেরিকান ভোটারদের একত্রিত করতে সহায়তাকারী একটি নির্দলীয় অলাভজনক সংস্থা এশিয়ান প্যাসিফিক আইল্যান্ডার আমেরিকান ভোট (এপিআইভোট)-এর নির্বাহী পরিচালক এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস্টিন চেন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, আপনি যখন ব্যাটেলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোর দিকে তাকান, তখন দেখবেন ২০২০ সালে ভোট দেয়া এশিয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে অধিবাসীর (এএপিআই) সংখ্যা সেই বছরের জয়ের ব্যবধানকে ছাড়িয়ে গেছে।
নানান প্রচেষ্টা সত্ত্বেও নতুন নাগরিকরা এখনো যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারীদের তুলনায় ভোটার উপস্থিতি হার অর্জনে বাধার সম্মুখীন হন।
এছাড়া বিশেষত প্রথমবারের ভোটারদের কাছে ভোটদান প্রক্রিয়া একটু জটিল মনে হতে পারে। ব্যালটের জটিলতা এবং ভোটদান পদ্ধতির সাথে পরিচিত না থাকার ব্যাপারগুলো মানুষকে ভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে পারে। এই চ্যালেঞ্জ সাংকৃতিক এবং ভাষাগত বাধার কারণে আরও জটিল হয়ে উঠেছে যা সম্ভাব্য ভোটারদের আরও বিচ্ছিন্ন করতে পারে।