বুধবার মিয়ানমারের জান্তা দেশটিতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে। যার ফলে, সামরিক ক্যুর বিরোধিতাকারীদের সঙ্গে সংগ্রামের মাঝে জান্তার প্রতিশ্রুত নতুন নির্বাচন আরও পেছাল।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির ক্যুর পর থেকেই গোলযোগ চলছে। এই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১০ বছরের পরীক্ষামূলক গণতন্ত্রের অবসান হয় এবং সেখানে গণবিক্ষোভ ও এতে অংশগ্রহণকারীদের ওপর জান্তার দমন-পীড়ন শুরু হয়।
সাড়ে তিন বছর পরও জান্তা বিস্তৃত আকারে ছড়িয়ে পড়া সশস্ত্র বিদ্রোহ দমনে হিমশিম খাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সশস্ত্র বাহিনীদের জোটের কাছে বেশ কয়েকবার পরাজয়ের মুখে পড়েছে জান্তা।
গণমাধ্যম এমআরটিভির প্রতিবেদন মতে, বিরোধীদের “জঙ্গি তৎপরতার কারণে” জারি করা দুই বছরের জরুরি অবস্থার পর নতুন নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে জান্তা।
এমআরটিভি বলছে, মূলত জান্তার সদস্যদের দ্বারা গঠিত জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কাউন্সিলের সব সদস্য “সর্বসম্মতিক্রমে আরও ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং নির্বাচনের জন্য “নিখুঁত ও গ্রহণযোগ্য ব্যালট” প্রস্তুত করার কারণ দেখিয়ে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। সম্ভবত নির্বাচন ২০২৫ সালে হতে যাচ্ছে।
এমআরটিভি আরও বলছে, “জনশুমারি পরিচালনা ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নের” জন্যেও সময়সীমা বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল।
২০০৮ সালে সামরিক বাহিনীর তৈরি করা সংবিধান মতে, কর্তৃপক্ষকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ছয় মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। ক্ষমতাসীন জান্তা জানিয়েছে, এই সংবিধান এখনো কার্যকর।