মঙ্গলবার ফিলিপাইনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন ম্যানিলায় নেভিগেশনের স্বাধীনতা এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো ইস্যুতে সহযোগিতা জোরদার করতে নেতাদের সাথে বৈঠককালে এই ঘোষণা এলো।
আলোচনার পর ফিলিপাইনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অস্টিন বলেন, এই অর্থায়ন ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে “এক প্রজন্মে এককালীন বিনিয়োগ”।
ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গিলবার্তো তিওদোরো জুনিয়র বলেছেন, সামরিক বিনিয়োগ দেশের প্রতিরক্ষা অবস্থান জোরদার করবে এবং “অযাচিত ও বেআইনি আগ্রাসন” প্রতিরোধে সহায়তা করবে।
দক্ষিণ চীন সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে চীনের কর্মকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনের মতো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোও উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেন ব্লিংকেন। ফিলিপাইন অধিকৃত সেকেন্ড থমাস শোলকে ঘিরে সংঘর্ষ এড়াতে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যেকার সাম্প্রতিক চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কূটনৈতিক প্রস্তাব “ স্বাভাবিক হওয়া উচিত, ব্যতিক্রম নয়।”
ব্লিংকেন সামনের বছরগুলোতে দুটি দেশের মধ্যকার অংশীদ্বারিত্বের গুরুত্ব আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি উল্লেখ করে সামনের বছরগুলোতে আরও বাড়ানোর দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার “দক্ষিণ চীন সাগরে আন্তর্জাতিক আইন সমুন্নত রাখার” ব্যাপারে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে বৈঠকে ব্লিংকেন ও অস্টিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বৈঠকের পাশাপাশি ফিলিপাইনের সঙ্গে সর্বশেষ আলোচনায় বসে।
এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেওয়া।