উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের স্থুলকায় স্বাস্থ্য নিয়ে সংকট, জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া

ফাইল -পিয়ং ইয়ং সুনান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে কিম জং উন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ১৯ জুন ২০২৪।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের ওজন আবার বেড়ে গেছে। তিনি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মত সমস্যায় ভুগছেন এবং তার কর্মকর্তারা চিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে নতুন ওষুধ খুঁজছেন বলে মনে হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সাংসদদের এ কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।

চল্লিশ বছর বয়ষ্ক কিম অতিরিক্ত মদ্য পান এবং ধুমপানের জন্য পরিচিত। তার পরিবারে হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে। তিনি ২০১১ সালে ক্ষমতার উত্তরাধিকার পাবার আগে তার বাবা এবং দাদা দুজনেই হার্টের সমস্যায় মারা যান।

পাঁচ ফুট আট ইঞ্চি লম্বা কিমের আগে ওজন ছিল ১৪০ কেজি। ২০২১ সালে সম্ভবত ডায়েট বদলানোর কারণে তিনি অনেকটা ওজন কমাতে সক্ষম হন বলে মনে হয়। কিন্তু গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি আবার আগের মত মুটিয়ে গেছেন।

সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এন আই এস এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আইন প্রণেতাদের বলেছে কিমের ওজন প্রায় ১৪০ কেজি এবং তার হৃদরোগের উঁচু ঝুঁকি আছে, জানিয়েছেন সাংসদ লি সিঅং কোয়েন।

দুই সাংসদ লি এবং পার্ক এন আই এস-কে উদ্ধৃত করে বলেন, তারা খবর পেয়েছে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা কিমের সম্ভাব্য অসুস্থতার জন্য বিদেশ থেকে নতুন ওষুধ আনার চেষ্টা করছে।

বিশ্বের যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি গোপনীয়তা রক্ষা করে চলে, উত্তর কোরিয়া তাদের একটি।

কিম যেহেতু তার ক্ষমতার উত্তরাধিকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি, তাই সে দেশের বাইরে তার স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা কল্পনা রয়েছে। দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচী এগিয়ে যাচ্ছে, যার একটি প্রধান লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্র।

এন আই এস বলেছে, কিমের ১০ বছরের মেয়ে কিম জু এ সম্ভবত ক্ষমতার উত্তরাধিকার পেতে পারে, তবে তার ভাই বা বোনও ক্ষমতা পেতে পারে।