বিটিভি ভবনে ভাঙচুর মামলায় বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাসসহ ৭ জন রিমান্ডে

ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন।

বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার এনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ দলটির সাত নেতাকর্মীকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ঢাকার একটি আদালত।

সোমবার (২৯ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম এ আদেশ দেন। মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন; বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহবায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, বিএনপি নেতা রশীদুজ্জামান মিল্লাত, সৈয়দ এহসানুল হুদা, মহিউদ্দিন হৃদয় ও তরিকুল ইসলাম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আসামিদের পক্ষের কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিলের জন্য আবেদন করেন এবং তাদের জামিন প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে, পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ এর বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ড আদেশ দেন।

এর আগে, বনানীতে সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ২৫ জুলাই তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ডে শেষে আদালতে হাজির করে রামপুরা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।

মামলার অভিযোগ বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও বিটিভি ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নির্দেশে এবং সক্রিয় অংশগ্রহণে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ হাজার কর্মী দলবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে বিটিভি ভবনের প্রধান চারটি গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ভবনের ভেতর ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায়।