ভেনেজুয়েলার নির্বাচন কর্তৃপক্ষ সোমবার সকালে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো আরেক দফার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, যে নির্বাচনে বিরোধী দল নিজেদের বিজয় নিয়ে আস্থা প্রকাশ করে।
ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার ছয় ঘন্টা পর সে দেশের জাতীয় নির্বাচন পরিষদ ফলাফল প্রকাশ করে বলেছে, মাদুরো মোট ভোটের ৫১ শতাংশ পেয়েছেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী এডমুন্ডো গনজালেজ পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট।
এই ফলাফলে পৃথক ভোট কেন্দ্রের ভোটের সংখ্যা দেখানো হয় নি।
বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাকাডো নির্বাচন কর্তৃপক্ষের এই ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, গনজালেজই বরং মোট ভোটের ৭০ শতাংশ পেয়েছেন।
মাদুরো যখন তার বিজয় উদযাপন করছেন, তখন আমেরিকা মহাদেশের অনেক সরকার ভোট গণনায় স্বচ্ছতার আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, “আমাদের গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে যে, ঘোষিত ফলাফলে ভেনেজুয়েলার জনগণের ইচ্ছা বা ভোটের প্রতিফলন ঘটেনি।”
সোমবার সকালে সমর্থকদের এক সভায় মাদুরো “শান্তি ও নিরাপত্তা”র প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভেনেজুয়েলার মাদুরো-অনুগতদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কথা বলতে গিয়ে তিনি বিদেশী সমালোচনাকে নাকচ করে দেন।
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিচ নির্বাচনের ফলাফলকে “বিশ্বাস করা কঠিন” বলে অভিহিত করেছেন।
বরিচ এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে বলেছেন, ভেনেজুয়েলার জনগণ ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ভোট ও গণনা প্রক্রিয়ার পূর্ণ স্বচ্ছতা দাবি করছে। সেই সঙ্গে, এই ফলাফল যাচাই করতে স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের দাবি জানানো হচ্ছে।
আর্জেন্টিনা, কোস্টারিকা, ইকুয়েডর, গুয়াতেমালা, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, ডমিনিকান রিপাবলিক ও উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও এক যৌথ বিবৃতিতে অনুরূপ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ফলাফল ও ভেনেজুয়েলার ভোটারদের ইচ্ছার মর্যাদাকে সুনিশ্চিত করতে স্বচ্ছ গণনাই একমাত্র পথ।
ইউরোপেও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের তথ্য দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি জনগণকে শান্তি ও ভব্যতা বজায় রাখতেও আবেদন করেছেন।