সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করতে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপান একগুচ্ছ পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে। তারা দক্ষিণ চীন সাগরে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বিপজ্জনক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার অব্যাহত আগ্রাসন, উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ এবং পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের জন্য শক্তি প্রয়োগের চেষ্টার মধ্যে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।
টোকিওতে আলোচনার জন্য গ্রুপের হোস্টিং-এর পরে কামিকাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্করের সাথে কথা বলেছেন।
ব্লিংকেন বলেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নৌ চলাচলের স্বাধীনতা জোরদার করার পাশাপাশি গ্রুপটি সমুদ্রের তলদেশের গুরুত্বপূর্ণ কেবলগুলোর নিরাপত্তা জোরদার এবং দুর্যোগ ত্রাণ প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতেও কাজ করবে।
ওং বলেন, “আমরা সবাই জানি, আমরা যে অঞ্চল চাইছি তা আমরা একা অর্জন করতে পারবো না।” “এবং আমরা যেমন আমাদের অংশীদারদের পরিপূরকতা থেকে উপকৃত হই, তেমনি আমাদের ভৌগলিক অবস্থান এবং সমৃদ্ধি গড়ে তুলতে এবং স্থিতিশীলতা জোরদার করার জন্য আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা আমাদের অঞ্চলও উপকৃত হয়। আমরা সবাই এমন একটি পৃথিবী চাই যেখানে বিরোধ সুরাহা হবে নিয়ম দিয়ে, কথা বলার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে; বল প্রয়োগ বা ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে নয়।
গোষ্ঠীটি সামুদ্রিক নিরাপত্তা সম্পর্কে তাদের মন্তব্যে চীনের নাম উল্লেখ করেনি, তবে এই অঞ্চলে চীনের কর্মকাণ্ড বারবার তিরস্কৃত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান রবিবার এক বিবৃতিতে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বিরুদ্ধে ‘অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড’ করার অভিযোগ করে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান সোমবার যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানকে ‘কাল্পনিক শত্রু তৈরি করা বন্ধ করতে’ সতর্ক করে দিয়েছেন।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।