কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হলে প্রক্টর অফিসে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এই জাতীয় ঘটনায় সম্ভাব্য সব সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ; বিজ্ঞপ্তিতে জানান জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম।
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট সহিংসতায়, সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় আরো ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
তবে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কতজন শিক্ষার্থি এ ব্যাপারে কোন পরিসংখ্যান দেয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার (২৯ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দাবী করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করেনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, "যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল শুধু তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে।"
এদিকে, বাংলাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মীদের ওপর গুলি না করার এবং গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজত থেকে ছয় সমন্বয়কারীকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি জনস্বার্থে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট দায়ের করেন।
এই বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার অনিক আর হক। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ও শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ।