ইসরায়েল বৃহস্পতিবার জানায়, তারা অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত পাঁচজন জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মায়া গোরেন নামে একজনকে শনাক্ত করেছে। তাকে ইসরায়লের দক্ষিণাঞ্চলে কিব্বুটজ নির অজ-এ মারা হয়।
বাকি চারজন জিম্মি হামলার সময় লড়াই-এ নিহত ইসরাইয়েলি সেনা বলে জানায় দেশটির সামরিক বাহিনী। তারা হলেন সার্জেন্ট ওরেন গোল্ডিন, স্টাফ সার্জেন্ট টোমার আহিমাস, সার্জেন্ট মেজর রাভিদ আরেহ কাটজ এবং সার্জেন্ট কিরিল ব্রডস্কি।
সামরিক বাহিনী জানায়, হামাস পাঁচজনের মরদেহ গাজায় নিয়ে যায়, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস থেকে তাদের উদ্ধার করতে অভিযান চালায়।
গত বছর ৭ অক্টোবরের ওই হামলায় হামাস প্রায় ১২০০ জন মানুষকে হত্যা করে ও ২৫০ জনকে জিম্মি করে। গাজায় এখনো প্রায় ১১০ জন জিম্মি রয়েছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাইডেন নেতানিয়াহু বৈঠক
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৩৯ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের হিসাবে জঙ্গি ও বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করা হয় না।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ উদ্ধার হওয়া জিম্মিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বলেন, বাকি জিম্মিদের জীবিত বা মৃত যেভাবেই হোক না কেন ফিরিয়ে আনাটা দায়িত্ব।
যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতায় কয়েক মাস ধরে চলা আলোচনা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিষয়ে একটি চুক্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। চুক্তিতে গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্তির পাশাপাশি ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা জোরদার করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে আলোচনা করার কথা ছিল। বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর মনোনিবেশ করা হয়েছে এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েল ও হামাস উভয়েরই সমাধানের পথে আসতে হবে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।