নিউজিল্যান্ডের তদন্ত রিপোর্টে রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘকাল ধরে চলা নির্যাতনের অভিযোগ

পাঁচ দশক ধরে শিশু এবং দুর্বল প্রাপ্তবয়স্কদের নির্যাতনের বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের শুনানিতে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের পার্লামেন্টে লোকজনের জড়ো হয়েছে । (২৪ জুলাই, ২০২৪)

নিউজিল্যান্ড এক স্বাধীন তদন্তের পর বুধবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যাতে গত পাঁচ দশক ধরে শিশু এবং দূর্বল প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর নির্যাতন নিয়ে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় জানা স্বত্তেও রাষ্ট্রীয় সংস্থা এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমুহ তাদের নির্যাতন প্রতিরোধ, বন্ধ বা স্বীকার করতে অপারগ হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের নির্যাতনের মাত্রা ছিল “অকল্পনীয়”।

নিউজিল্যান্ডের সরকার এরপরই প্রথমবারের মতো স্বীকার করে যে রাষ্ট্র পরিচালিত কুখ্যাত একটি হাসপাতালে কিছু শিশুর উপর চিকিৎসা ছিল নির্যাতনের সামিল। তারা ১৯৫০ সাল থেকে রাষ্ট্রীয়, পালক ও ধর্মীয় সেবায় নির্যাতিত সবার কাছে ক্ষমা চাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাক্সন বলেছেন, সরকার ক্ষতিপূরণ বাবদ কত অর্থ দেবে তা এখনও প্রকাশ করার সময় আসেনি। তাছাড়া নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার ও ধামাচাপা দেওয়ার সাথে জড়িত কর্মকর্তারা তাদের চাকরি হারাবেন কিনা এরকম প্রতিশ্রুতিও দেওয়া যাচ্ছে না।

তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এটি একটি্ “জাতীয় লজ্জা”। ১৯৫০ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে রাজ্য, ফস্টার কেয়ার এবং গির্জার দ্বায়িত্বে থাকা প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার শিশু এবং দুর্বল প্রাপ্তবয়স্করা শারীরিক, যৌন, মৌখিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বেশি বলেই ধারণা করা হচ্ছে। অতীতের কোন পরিসংখ্যান না থাকায় মূল সংখ্যা অজানাই রয়ে যাবে।

লাক্সন জানিয়েছেন, সরকার ১২ নভেম্বর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইবে।