ইসরায়েলি বসতিতে হেজবুল্লাহর রকেট নিক্ষেপ

দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি অস্থায়ী তাঁবুতে একজন সিরীয় শরণার্থী সন্তানকে আদর করছেন। বুর্জ আল মুলুক, ২০ জুলাই,২০২৪।

লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী বলছে তাদের যোদ্ধারা শনিবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে একটি ইহুদি বসতিতে কয়েক ডজন রকেট নিক্ষেপ করেছে। দিনের আরও আগের দিকে ইসরায়েলের ড্রোন আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে তারা এই আক্রমণ চালায় যা ছিল গত নয় মাসের মধ্যে এই প্রথম আক্রমণ। ইসরায়েলের আক্রমণে শিশুসহ বহু লোক আহত হয়।

শনিবারই ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস বলেছে তারা গাজা ভূখন্ডে “ ইহুদিবাদীদের হত্যাজ্ঞের” প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে শোমেরা গ্রামে লেবানন থেকে সেনা চৌকিতে রকেট নিক্ষেপ করে। হামাস গত কয়েক মাসে লেবানন থেকে এ ধরণের আক্রমণ চালিয়েছে যদিও তা ব্যতিক্রমী ।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ইহুদি বসতি দাফনায় হেজবুল্লাহ যে কয়েক ডজন কাটিউশা রকেট দিয়ে আক্রমণ চালায় তার কয়েক ঘন্টা আগেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের বুর্জ আল মুলুক গ্রামে ইসরায়েলি ড্রোন একটি গাড়িতে আঘাত হানে, ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো কয়েকজনকে আহত করে, যারা কাছেই দাঁড়িয়েছিল। রাষ্ট্রপরিচালিত জাতীয় সংবাদ সংস্থা বলছে আহত এই অসামরিক লোকেরা সিরিয়ার নাগরিক এবং তাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে তিনবার নিক্ষিপ্ত হয় ৪৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। তারা বলছে কোন কোনটিকে প্রতিরোধ করা হয়, অন্যগুলি খোলা জায়গায় গিয়ে পড়ে তাতে কেউ হতাহত হয়নি কিন্তু গোলান হাইটস’এর কয়েক জায়গায় আগুন লেগে যায়।

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার অব্যবহিত পরেই হেজবুল্লাহ রকেট নিক্ষেপ শুরু করে। তারা বলছে এর লক্ষ্য হচ্ছে গাজার উপর চাপ লাঘব করা। এই গুলি বিনিময় এবং বিমান হামলা যদিও সীমান্তের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে সীমিত, ‘এর ফলে উভয় দেশের হাজার হাজার লোক স্থানচ্যূত হন।

বুধবার হেজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ সতর্ক করে দেন যে তাঁর দল লেবাননে ইসরায়েলি আক্রমণের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে কারণ “ রকেট নিক্ষেপ করে এবং যে সব গ্রামকে আগে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়নি সেই সব গ্রামকে লক্ষ্যবস্তু করে” ইসরায়েল লেবাননে অসামরিক লোককে হতাহত করছে।

অক্টোবরের শুরু থেকে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননে ৪৫০ জনকে হত্যা করা হয় , যাদের অধিকাংশই হেজবুল্লাহ সদস্য । তা ছাড়া ৯০ জন অসামরিক লোকও নিহত হয়। ইসরায়েলি পক্ষে ২১ জন সৈন্য এবং ১৩ জন অসামরিক লোককে হত্যা করা হয়।