ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার, জানিয়েছে পাকিস্তান

ফাইল- পুলিশ ফায়সালাবাদে একটি গাড়ি তল্লাশি করছে। জানুয়ারি ১৫,২০১৯। কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের হামলার মূল হোতা ওসামা বিন লাদেনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জুলাই ১৯,২০২৪।

কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের হামলার মূল হোতা ওসামা বিন লাদেনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টার উসমান গন্ডাল লোকটিকে আমিনুল হক বলে সনাক্ত করেন এবং বলেন বহু বছর ধরে খোঁজার পর পাঞ্জাবে সন্ত্রাস বিরোধী বিভাগ তাকে আটক করতে পেরেছে। লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে গন্ডাল বলেন হক ওই প্রদেশে যে সম্ভাব্য আক্রমণের পরিকল্পনা করছিল, তার এই গ্রেপ্তার সেটি বানচাল করে দেয়।

আল ক্বায়দার সঙ্গে সম্পৃক্ত যে সব লোকের উপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে হকের নাম সেই তালিকায় রয়েছে। হক হচ্ছে একজন আফগান যার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে সে আল ক্বায়দার অর্থ যোগানদার ও বিদ্রোহীদের অস্ত্র সরবরাহ করতো। গন্ডাল বলেন যে তাকে ঝিলাম শহরের কাছের একটি শহরে গ্রেপ্তার করা হয় তবে এটা পরিস্কার হয়নি যে ঠিক কবে তাকে আটক করা হয়।

১১ সেপ্টেম্বেরর হামলার পর বহু শীর্ষ আল ক্বায়দা নেতাকে পাকিস্তান গ্রেপ্তার করে এবং তাদের যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করে। এদের মধ্যে ছিল বিন লাদেনের সহযোগী খালেদ শাইখ মোহাম্মদ, রামজি বিনালশিভ এবং আবু জুবায়দাহ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থন জঙ্গিদের ক্ষুব্ধ করে এবং তখন থেকেই তারা নিরাপত্তা বাহিনী ও অসামরিক লোকজনের উপর আক্রমণ চালিয়ে আসছে।

শুক্রবার দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে রাস্তায় পাতা বোমায় দু জন নিহত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে এই অঞ্চলটি এক সময়ে ছিল উত্তর-পশ্চিমে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী পাকিস্তানি তালিবানের শক্ত ঘাঁটি।

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা দখল করার পর পাকিস্তানে সহিংসতা বৃদ্ধি পায়। অধিকাংশ আক্রমণের জন্য পাকিস্তানি তালিবানকে, যারা তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান নামে পরিচিত, দায়ী করা হয়। তারা একটি পৃথক গোষ্ঠী কিন্তু আফগান তালিবানের মিত্র তারা।

এ সপ্তাহের প্রথম দিকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বান্নুতে সেনাবাহিনীর একটি আবাসন স্থাপনার বাইরের দেওয়ালে একজন আত্মঘাতী বোমাবাজ বিস্ফোরণ ভর্তি গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিলে আটজন সৈন্য নিহত হয়।

শুক্রবার বান্নুতে হাজার হাজার অধিবাসী ওই অঞ্চলে শান্তির দাবি জানিয়ে একটি সমাবেশে শান্তির প্রতীক হিসেবে সাদা পতাকা বহন করেন। তা সত্ত্বেও, পুলিশ বলছে, অজানা বন্দুকধারীরা সমাবেশে গুলি চালালে তিনজন নিহত এবং আরো প্রায় দু’ডজন লোক নিহত হয়। এটা পরিস্কার বোঝা যায়নি যে এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী, পুলিশ বলছে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।