সরকারি চাকরিতে প্রবেশে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলনে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন। বুধবার (১৭ জুলাই) এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে বিকৃত করে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হত্যা, তাদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় আমরা ব্যথিত, মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ।”
“তারা আমাদেরই সন্তান, এদেশের সন্তান। যেকোনো বিষয়ে বিতর্ক, আন্দোলন ও সমস্যা যাই থাকুক না কেন, একটি মৃত্যুও কাম্য নয়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যু একটি পরিবার শুধু নয়, সমাজ ও রাষ্টের জন্য ক্ষতি;” বিবৃতিতে আরো বলেন তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টোরিয়াল বডির ৫ শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ ঘটনারও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমাদের শিক্ষকদের গর্ব আমাদের ছাত্রছাত্রীরা। শিক্ষক ও ছাত্রদের সম্পর্ক অত্যন্ত সুমধুর। শিক্ষকদের ওপর এই ন্যাক্কারজনক হামলা কোনো ছাত্রের কাজ হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না।”
“আমাদের রয়েছে গৌরবময় ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস। ৫২'র ভাষা আন্দোলনে ছাত্রদের রক্ত দিয়েই রচিত হয়েছে আমাদের মুখের ভাষা, মায়ের ভাষা, বাংলা ভাষা;” যোগ করেন প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন।
কোটা সংস্কার একটি যৌক্তিক বিষয় উল্লেখ করেন প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, “এটি সরকার বা ছাত্রলীগ কেউ অস্বীকার করেনি। তাহলে কেন এই রক্তপাত? কেন এই নির্মম হামলা? কেন আমাদের ছাত্রছাত্রীরা অন্যের ষড়যন্ত্রে বলির পাঠা হয়ে মারা যাবে?”
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাহীনতা নতুন ষড়যন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু নয়। তিনি যেকোনো ন্যায্য দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল। “যিনি কোটা বাতিল করতে পারেন, তিনি কি সংস্কার করতে পারেন না?” প্রশ্ন করেন প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি আরো বলেন, “এই আত্মবিশ্বাস থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি কোটা আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের হত্যার সঠিক তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
“আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা কোনো উস্কানিতে সাড়া না দিয়ে অবিলম্বে এই সহিংসতার পথ পরিহার করবে এবং তাদের মেধা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মনোনিবেশ করবে;” বলেন প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন।