ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সোমবার বলেছে, গোটা গাজা ভূখণ্ড জুড়ে তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলে এক সিনিয়র হামাসকে নেতাকে নিশানা করে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯০ জন নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর আবার এই হামলা।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে তারা স্থল অভিযান চালিয়েছে। সে দেশের সামরিক বাহিনীর দাবি, সন্ত্রাসী অবকাঠামো ও জঙ্গিদের উপর তারা হামলা চালিয়েছে কেননা তারা ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
খান ইউনিসে শনিবার ইসরায়েলি বিমান হামলার পর হামাসের সামরিক নেতা মহম্মদ দেইফ নিহত হয়েছে কিনা তা সোমবারেও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
হামাস কর্মকর্তারা কোনও তথ্য-প্রমাণ না দিয়েই ইসরায়েলি হামলায় দেইফের মৃত্যুর খবরকে অস্বীকার করেছে।
হামাস রবিবার আরও বলেছে, খান ইউনিসে হামলার কারণে তারা যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা প্রত্যাহার করছে না।
গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতা করছে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র, তবে তারা এখনও নতুন কোনও চুক্তি বা সমঝোতায় উপনীত হতে পারেনি যেখানে যুদ্ধ স্থগিতকরণ ও গাজায় হামাস কর্তৃক আটককৃত জিম্মিদের মুক্তির বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
গত বছরের ৭ অক্টোবরে হামাসের অতর্কিত হামলার ফলে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই হামলায় জঙ্গিরা ১২০০ জনকে হত্যা ও প্রায় ২৫০ জনকে পণবন্দি করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুসারে, ইসরায়েলি বিমান হামলা ও স্থল অভিযানের ফলে কমপক্ষে ৩৮ হাজার ৫০০ জন নিহত ও আরও ৮৮ হাজার ৮০০ জন আহত হয়েছে।
মেরিটাইম নিরাপত্তা সংস্থা সোমবার জানিয়েছে, লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলের প্রধান পথে ইয়েমেন-ভিত্তিক হুথি জঙ্গিরা সম্প্রতি হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এটা তাদের এক প্রচার অভিযান। হুথিরা বলছে, গাজায় চলমান যুদ্ধের আবহে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে তাদের এই হামলা।
যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) বলেছে, লোহিত সাগরে ইয়েমেনের আল হুদায়দাহ বন্দরের প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে তিনটি নৌকা একটি বাণিজ্যতরীকে আক্রমণ করেছে বলে জানা গেছে।
ইউকেএমটিও জানিয়েছে, একটি নৌকায় কোনও লোক ছিল না এবং বাণিজ্যিক জাহাজকে দুইবার ধাক্কা মারে এটি।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।