রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি: ‘বাংলাদেশের হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে’

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত এক কর্মশালায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। ১৪ জুলাই, ২০২৪।

বাংলাদেশের হাওর ও উপকূলের মতো অনগ্রসর এলাকাগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। রবিবার (১৪ জুলাই) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত এক কর্মশালায় কথা বলেন তিনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে, পাথওয়েজ টু প্রসপারিটি ফর এক্সট্রিমলি পুওর পিপল: ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (পিপিইপিপি-ইইউ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পিকেএসএফ। এই প্রকল্পের আওতায় পিকেএসএফ ভবনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

“গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ও মানবিক বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন হলেও, হাওর ও উপকূলীয় এলাকার মতো দেশের অনগ্রসর অঞ্চলগুলোতে অতিদারিদ্র্যের হার এখনো বেশি। তাই এসব স্থানে বিশেষ মনোযোগ দেয়া হবে;” জানান চার্লস হোয়াইটলি।

রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি আরো বলেন, গত বছর ইইউ ও বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে। পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পটি এ সম্পর্কেরই একটি প্রতিফলন।

কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে এবং এর পেছনে সরকারের বিভিন্ন গণমুখী, সময়োপযোগী

পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও লবণাক্ততার প্রকোপ মোকাবেলার মতো কঠিন বিষয়গুলো সমাধানে কাজ করা সম্ভব; যা একই সঙ্গে সময়সাপেক্ষ ও চ্যালেঞ্জিং।

পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণে পিকেএসএফের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে, পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ তবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে।