বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস: ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকার ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। “কোটা সংস্কার আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি;” বলেন তিনি

শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, “বিএনপির কথা বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন অন্যদিকে নেয়ার সুযোগ নেই। এটা তাদের (সরকার) অপকৌশল ছাড়া কিছুই নয়। মূলত কোটা আন্দোলনকে জড়িয়ে সরকার ভিন্ন কিছু করার পাঁয়তারা করছে।”

কোটা সংস্কার আন্দোলন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি বলে উল্লেখ করেন মির্জা আব্বাস। তিনি আরো বলেন, “শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামিয়ে সরকার অন্য কোনো অপকৌশলে বা দেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করছে কিনা, আমরা সেই আশঙ্কা করছি।”

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এই অপশাসন থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অতীতে বিএনপির কোনো আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি। সরকার বিএনপির আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে শত শত নেতাকর্মীকে জেলে পাঠিয়েছে। তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠে আছে। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে থেকে আন্দোলন করবে।

ওবায়দুল কাদের: ‘আন্দোলন সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবি ও বক্তব্য সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকালে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। “কোটা পদ্ধতি-সংক্রান্ত আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে;” আরো বলেন ওবায়দুল কাদের।

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোটা পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।

“সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোটা পদ্ধতির অনুপস্থিতির ফলে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের হার ছিলো হতাশাজনক;” যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কোটার হার রয়েছে উল্লেখ করেন তিনি। জানান, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ভারতে ৬০ শতাংশ, পাকিস্তান ৯২ দশমিক ৫ শতাংশ, নেপালের ৪৫ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৫০ শতাংশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রয়েছে।