নেটো সম্মেলনঃ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মিত্রদের সাথে পশ্চিমা জোটের সম্পর্ক জোরদার

ওয়াশিংটনে নেটো সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন (বাঁ দিক থেকে) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়েওল, নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী রিচারড। ফটোঃ ১০ জুলাই, ২০২৪।

পশ্চিমা সামরিক জোট নেটো ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার প্রধান অংশীদারদের সাথে সম্পর্ক গভীর করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের সাথে বৈঠক করে।

এর একদিন আগে নেটোর ৩২টি মিত্র দেশ এক কঠোর ভাষার বিবৃতিতে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য চীনের সমালোচনা করে।

একটি ওয়ার্কিং সেশনের সময় নেটো এবং তার ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশীদাররা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ এবং রাশিয়ার কাছে চীনের প্রযুক্তি ও কাঁচামালের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলায় পরিকল্পনা ও কৌশল জোরদার করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় মিত্রদের উপস্থিতি চীনকে বার্তা দিয়েছে যে, গণতান্ত্রিক জোটগুলো আইনের শাসনের পক্ষে দাঁড়াবে, আগ্রাসীরা যেখানেই সেটা ভাঙ্গার চেষ্টা করুক না কেন।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিরক্ষা নীতি বিষয়ক ঊর্ধ্বতন পরিচালক জেসন ইসরায়েল ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, “নেটো এ-ও স্বীকার করে যে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে হুমকি, সেটা উত্তর কোরিয়া হোক বা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে রাশিয়াকে চীনের সমর্থন হোক, আমরা তা এড়াতে পারি না।”

ইউক্রেন নিয়ে হুমকি

জোটের ৩২টি মিত্র দেশের স্বাক্ষর করা চূড়ান্ত ইশতেহারে নেটো চীনকে রাশিয়ার যুদ্ধের ‘চূড়ান্ত সহায়তাকারী’ হিসেবে অভিহিত করে এবং বেইজিংকে তার সমর্থন বন্ধ করার আহ্বান জানায়।

নেতারা লিখেন, “গণপ্রজাতন্ত্রী চীন (পিআরসি) তার স্বার্থ ও খ্যাতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে সাম্প্রতিক ইতিহাসে ইউরোপের বৃহত্তম যুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে না।”

তারা বেইজিং-এর মহাকাশ সক্ষমতা এবং পারমাণবিক অস্ত্রাগার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

নেটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “চীন রাশিয়ার যুদ্ধ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে” এবং “ইউরোপ ও নেটো নিরাপত্তার জন্য রাশিয়ার হুমকি বাড়িয়ে তুলছে।”

রাশিয়াকে সমর্থন প্রদান থেকে চীনকে বিরত রাখতে এই বিবৃতিটি যথেষ্ট শক্তিশালী কি না, তা ভয়েস অফ আমেরিকার পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করা হলে স্টলটেনবার্গ সংবাদ সম্মেলনে জবাব দেন যে, বুধবারের ঘোষণাটি “ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধে চীনের অবদানের বিষয়ে নেটো মিত্ররা সবচেয়ে শক্তিশালী বার্তা পাঠিয়েছে।”