মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিটে যোগদানের পাশাপাশি, হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন থান সুই। এ সময় থান সুই তার দেশের এ মনোভাবের কথা জানান। রিট্রিটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের পূর্বের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, তারা তাদের দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। কিন্তু এটি কার্যকরের কোনো চিহ্ন এখনো দেখা যাচ্ছে না।
“প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজির রাখতে পারে;” উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর অভিপ্রায় পুণর্ব্যক্ত করেন; জানান হাছান মাহমুদ।
এদিকে রিট্রিটের শেষ দিন শুক্রবার (১২ জুলাই) ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সকালে নয়া দিল্লির কল্যাণ মার্গের পঞ্চবটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রিট্রিটে যোগদান করতে আসা বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নেপালের পররাষ্ট্র সচিব।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭টি দেশের আঞ্চলিক জোট হলো; বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই রিট্রিটে বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরো শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
সম্মেলনে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার দেশের কার্যকর অবস্থান তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন। এই বৈঠকে নিত্যপণ্য আমদানি সুবিধা অব্যাহত রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন তারা।