দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক (তদন্ত) ও তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দ্বিতীয় দফায় জব্দ স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মতিউর রহমান, তাঁর প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান, মেয়ে ফারজানা রহমান ঈশিতা ও দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারের নামে মোট ২ হাজার ৩৬৫ শতাংশ জমি এবং ঢাকার মিরপুরে প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে চারটি ফ্ল্যাট।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে দেশের ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে জমা ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা। এ ছাড়া, বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের ২৩টি বিও (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আবেদনে দুদকের উপপরিচালক উল্লেখ করেন, মতিউর রহমান তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ উপায়ে শত শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
অনুসন্ধানকালে জানা যায়, মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাদের স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর ও অর্থ পাচারের চেষ্টা করছিলেন। তাই তাদের এ ধরনের চেষ্টা থেকে বিরত রাখতে একটি নির্দেশের প্রয়োজন ছিল বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এর আগে প্রথম দফায় ৪ জুলাই মতিউর রহমানের চারটি ফ্ল্যাট ও ৮৬৬ শতক জমি বাজেয়াপ্তের আদেশ দেয় আদালত।
এ ছাড়া ২৪ জুন একই আদালত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মতিউর রহমান, তাঁর স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে।