কোটা বাতিল কিংবা সংস্কারের জন্য এখন যে আন্দোলনকারীরা রাস্তায় নেমেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ‘একটা বৈষম্য দূর করতে গিয়ে আরেকটি বৈষম্য সৃষ্টির’ অভিযোগ তুলছে বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সংগঠনটির সভাপতি অলিক মৃ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, ‘‘বড় একটি শ্রেণি আমাদের বৈষম্যের জায়গায় ফেলে দিচ্ছে। যারা আন্দোলন করছেন, তারা যেন আমাদের ৫ শতাংশ কোটা বহাল থাকা নিয়ে কথা বলেন, তাদের প্রতি এটাই আমাদের আহ্বান।’’
২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা ছিল। ওই সময় ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি থেকে সব কোটা বাতিল করা হয়।
সেই থেকে এই ধরনের চাকরিতে আদিবাসীদের সুযোগ কমেছে বলে দাবি অলিক মৃর।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, পিছিয়ে পড়া কিংবা অনগ্রসর মানুষদের জন্য তারা কোটা চান। এজন্য তারা আদিবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করার কথাও বলছেন। কিন্তু তাদের দাবি অনুযায়ী কোটা নির্ধারণ হলে আদিবাসীদের জন্য ৫ শতাংশ থাকবে না। অনেক কমে যাবে। আর ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল থাকলে আদিবাসীদের জন্য কোটাই থাকবে না।
অলিক মৃ বলছেন, আন্দোলনকারীরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তারা ৫ শতাংশ কোটা নিয়ে চিন্তিত। কারণ অনগ্রসর জাতি বলতে কাদের বোঝানো হবে, সেটি নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হতে পারে।
নিজেদের কোটা বহাল রাখতে আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ রিট করার কথা ভাবছে। পাশাপাশি আন্দোলন-কর্মসূচির কথাও ভাবছে বলে জানিয়েছেন তরুণ এই ছাত্রনেতা।
কোটা বাতিল আন্দোলন: আদিবাসীদের ৫ শতাংশ কোটা যেন বহাল থাকে এমন দাবী অলিক মৃ'র
Your browser doesn’t support HTML5