অমীমাংসিত ভোটের পর প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে ফ্রান্সের দলগুলো

ফ্রান্সের আইন পরিষেদর দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের এক দিন পর ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদের শূন্য আসন দেখা যাচ্ছে। প্যারিস , জুলাই ৮,২০২৪।

ফরাসি দলগুলো মঙ্গলবার শক্তি প্রদর্শন ও মিত্রদের একত্রিত করার চেষ্টা করছিল। নির্বাচনের পরে সরকার বিভিক্ত হয়। নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক শক্তি স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি করতে পারেনি।

নির্বাচনে শীর্ষে থাকার প্রত্যাশা উপেক্ষা করে, বাম্পন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) জোটের নতুন এমপিরা ১৮ জুলাই প্রথম অধিবেশনের আগে সংসদে তাদের নতুন কর্মস্থল পরিদর্শন করতে শুরু করেছেন।

তবে গ্রিন, সোশালিস্ট, কমিউনিস্ট এবং কট্টর বামপন্থী ফ্রান্স আনবৌড (এলএফআই) জোট এখনো সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকে এগিয়ে রাখা যায় এবং তারা বৃহত্তর জোটে কাজ করার জন্য উন্মুক্ত হতে পারে কি না তা নিয়ে বিতর্ক করছে।

সম্মিলিতভাবে বামপন্থী দলগুলোর জাতীয় পরিষদের ৫৭৭টি আসনের মধ্যে ১৯৩টি আসন রয়েছে যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ২৮৯টি আসনের চেয়ে অনেক কম।

তবে সদস্যরা ‘সপ্তাহের শেষের দিকে’ সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন এলএফআই-এর শীর্ষস্থানীয় নেতা ম্যাথিল্ড পানোট।

কিছু বিভক্তি রয়ে গেছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে বাম দলগুলোর সংসদ সদস্যরা দিনভর বিভিন্ন সময়ে সংসদে প্রবেশের পরিকল্পনা করেন।

সমাজতান্ত্রিকরা এখনো এলএফআইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য এবং জোটের দিক নির্দেশনার ওপর আরও বেশি বক্তব্য রাখার জন্য তাদের গ্রুপে আরও কিছু সদস্য সংগ্রহ করার আশা করছেন।

এদিকে ম্যাক্রোর শিবিরের সদস্যরা মধ্য-বামপন্থী সমাজতান্ত্রিক এবং রক্ষণশীল রিপাবলিকান উভয়কেই নতুন মধ্য-আধিপত্যবাদী জোটের সম্ভাব্য মিত্র হিসেবে দেখছেন।

রাজনীতিবিদরা যখন আশু পথ নির্ধারণে হিমশিম খাচ্ছেন, তখন এরই মধ্যে এরপর কবে ফরাসি ভোটারদের ভোটের জন্য ডাকা হবে সেদিকে দৃষ্টিপাত করা হচ্ছে।

২০২৭ সালে ম্যাক্রোর মেয়াদ শেষ হবে। তিনি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনের অংশ নিতে পারবেন না। এর ফলে তার কাছে দুবার পরাজিত হওয়া তার প্রতিদ্বন্দ্বী আরএন প্রধান মেরিন ল্য পেনের জন্য অবশেষে প্রেসিডেন্ট হবার পথ খুলে যাবে।

পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে বলে জনমত জরিপে আভাস পাওয়ার পরও উগ্র ডানপন্থী দলটির হতাশাজনক ফলাফল হজম করতে হচ্ছে।