বাংলাদেশে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরাসরি সমর্থন করলেও রাজনৈতিক পরিচয়ে অংশ নিচ্ছেন না বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার, ৮ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ভয়েস অফ আমেরিকার অমৃত মলঙ্গীকে বলেন, ‘‘হয়তো বা আমরা (পদে থাকা নেতারা) যাচ্ছি না। তবে জুনিয়র নেতাকর্মীরা আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।’’
বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সাহস বলেন, ‘‘পলিটিক্যাল ব্যানার থাকলে বাংলাদেশে যেকোনো আন্দোলনকে আলাদা একটা লেবাস দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তাই আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা সর্বোচ্চ কৌশল অবলম্বন করে তাদের পক্ষে থাকবো।’’
সাহস জানান, তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি এই আন্দোলনে সরাসরি অংশ নিচ্ছেন না।
সাহস মনে করেন, এই ধরনের আন্দোলনে পলিটিক্যাল ব্যানারে না যাওয়াই ভালো।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাহস বলেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে ১৯৭১ সালে। এখন ২০২৪ সাল। এখন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার বাস্তবতা আছে কি না, সেটা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। আমার পক্ষ থেকে স্পেসিফিকভাবে কিছু বলতে পারি না। এই সমাজে শিক্ষাবিদ আছে, আরও জ্ঞানীগুণী লোক আছে, তাদের সবার সাথে আলোচনা করে সুন্দর সমন্বয় করে একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান আনা উচিত বলে আমি মনে করি।’’
বাংলাদেশে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সর্বশেষ কর্মসূচি ‘বাংলা ব্লকেড’-এর অংশ হিসেবে, সোমবার (৮ জুলাই) রাজধানী ঢাকার প্রধান মোড়গুলোতে অবরোধ পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
আগামী দুই দিনের মধ্যে যৌক্তিক ও সাংবিধানিকভাবে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি পূরণ না হলে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন দুই শিক্ষার্থী। এই দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের ওপর বুধবার (১০ জুলাই) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
কোটা বাতিল আন্দোলন: ‘পলিটিকাল ব্যানারে’ থাকবে না ছাত্রদল বললেন সাহস
Your browser doesn’t support HTML5