কোটা বাতিল আন্দোলন: সমাধানে কমিশন গঠনের প্রস্তাব সাদ্দামের

Your browser doesn’t support HTML5

বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তার সমাধানে কমিশন গঠন করা যেতে পারে বলে মনে করেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। সোমবার, ৮ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে ভয়েস অফ আমেরিকার অমৃত মলঙ্গীকে তিনি একথা বলেন সাদ্দাম।

সাদ্দাম যখন ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন কয়েক হাত দূরেই কোটাবিরোধী আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। মধুর ক্যান্টিন, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি-এসব এলাকায় জড়ো হতে থাকেন শত-শত শিক্ষার্থী। সাদ্দামের সঙ্গেও কয়েক শ শিক্ষার্থীকে ক্যান্টিন এলাকায় দেখা যায়।

এই আন্দোলনের বিষয়ে ছাত্রলীগের অবস্থান জানতে চাইলে সাদ্দাম বলেন, ‘‘এটির একটি যৌক্তিক, টেকসই এবং দূরদর্শী সমাধান যেন হয়, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলার চেষ্টা করছি।’’

‘‘বিচারিক বিভাগের পর্যবেক্ষণের আলোকে, যেটি ইতিবাচক হয়, সরকার সেটিই গ্রহণ করবে বলে আমরা মনে করি। প্রয়োজনে কমিশন গঠন করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মতামত নিয়েও কিন্তু এটি সমাধান করা হতে পারে।’’

২০১৮ সালে ব্যাপক আন্দোলনের মুখে সরকার নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডের চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল করে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য (পরে নাতি-নাতনিদেরও) ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল হয়। গত ৫ জুন মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এর পর থেকে কোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়।

সাদ্দাম মনে করেন, ‘‘এই আন্দোলনের কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সরকার পক্ষই আপিল করেছে, নির্বাহী বিভাগই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।’’

তাই তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘এটি পরিষ্কার আমরা ইতিবাচক, গ্রহণযোগ্য সমাধানের দিকেই এগোচ্ছি। জনদুর্ভোগ তৈরি করে এমন কোনো পন্থা অবলম্বন না করার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাবো।’’

বাংলাদেশে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের সর্বশেষ কর্মসূচি ‘বাংলা ব্লকেড’-এর অংশ হিসেবে, সোমবার (৮ জুলাই) রাজধানী ঢাকার প্রধান মোড়গুলোতে অবরোধ পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৭ জুলাই) আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছিলো যে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ‘বাংলা ব্লকেড' চলবে।