ফ্রান্সের নির্বাচন নিয়ে রবিবারের প্রজেকশন অনুযায়ী বামপন্থীদের কোয়ালিশন সংসদের বেশির ভাগ আসন জিতেছে, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট দ্বিতীয় অবস্থানে আর উগ্র ডানপন্থী দল তৃতীয় অবস্থানে।
কোনো একটি জোট প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় দেশটি রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। রবিবার দেরিতে বা সোমবার ভোরে ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে। ম্যাক্রোঁ মাত্র চার সপ্তাহ আগে হঠাৎ করে এই নির্বাচন দেন।
প্রোজেকশন অনুযায়ী অত্যন্ত অজনপ্রিয় এই প্রেসিডেন্ট সংসদের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন। মেরিন লে পেন-এর উগ্র ডান দল সংসদে আগের চাইতে অনেক বেশি আসনে জিতেছে তবে প্রত্যাশার চাইতে তা কম।
পারমাণবিক শক্তিধর এবং একটি প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি ফ্রান্সের নির্বাচনের ফলাফল ইউক্রেনের যুদ্ধ, বৈশ্বিক কুটনীতি এবং ইউরোপের অর্থনৈতিক স্থিতির ওপর প্রভাব ফেলবে।
কে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে নেতৃত্ব দেবেন, সেটা নিয়ে আগামি কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক দর কষাকষি চলতে পারে। ম্যাক্রোঁকে হয়তো এমন এক প্রধামন্ত্রীর পাশে কাজ করতে হবে, যিনি তার বেশিরভাগ অভ্যন্তরীন নীতির বিরোধী।
প্রজেকশন সঠিক হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রধান স্তম্ভ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি বড় রকমের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, দুপুর নাগাদ (১০.০০ জিএমটি) ভোটার উপস্থিতি ২৬.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২২ সালে ভোটের দ্বিতীয় দফার ১৮.৯৯ শতাংশ থেকে বেড়েছে। এ উপস্থিতি ফ্রান্সে মেরুকরণের দৃষ্টিভঙ্গির উপর আলোকপাত করে এমন একটি নির্বাচনের প্রতি জনগণের চরম আগ্রহ প্রকাশ করে।
জরিপকারী কোম্পানি হ্যারিস ইন্টারঅ্যাকটিভ এবং ইপসস বলে, ১৯৮১ সালের পর এটি ভোটারদের দুপুর নাগাদ সর্বোচ্চ উপস্থিতি।
শহর এবং মফস্বলগুলোতে সন্ধ্যা ৬টায় (১৬:০০ জিএমটি) এবং বড় শহরগুলোতে ৮টায় ভোট শেষ হবে। সকাল ৮টায় ভোট কেন্দ্রের নমুনা থেকে প্রাথমিক গণনার ভিত্তিতে প্রাথমিক অনুমান সরবরাহ করবে।
তিন সপ্তাহের সংক্ষিপ্ত প্রচারণার সময় রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বলেন, কর্তৃপক্ষ প্রার্থী এবং প্রচারকারীদের উপর ৫০ টিরও বেশি শারীরিক হামলা রেকর্ড করেছে।