ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, বললেন সাবের হোসেন চৌধুরী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

জলবায়ু পরিবর্তনের জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

রবিবার (৭ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে এ কথা বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।

“এ যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশের অভিযোজন কৌশল-কে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পগুলির জন্য অতিরিক্ত তহবিল নিশ্চিত করবে;” তিনি যোগ করেন।

বৈঠকে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি চূড়ান্তকরণে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে জাতীয় অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বরাদ্দ বিভাজনের অনুরোধ জানানো হয়। জবাবে, বাস্তবায়ন পর্যায়ে বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সঙ্গে বরাদ্দকে সঙ্গতিপূর্ণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে ফ্রান্সের প্রতিনিধি দল।

চুক্তির সময়সীমা সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে আগস্ট ২০২৮ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। আলোচনায় একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য যুক্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। চলতি ২০২৪ সালের জন্য, ৪০ লাখ ইউরোর প্রথম কিস্তি নিশ্চিত করতে, ফ্রান্সের উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিক প্রকল্প জমা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

প্রাথমিক তহবিল পেতে, ন্যাপের 'ইকোসিস্টেম, ওয়েটল্যান্ড ও জীববৈচিত্র্য' খাতের অধীনে প্রকল্প ধারণা জমা দেবে বলে জানায় বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়। বৈঠকে সুন্দরবন পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষার লক্ষ্যে নেয়া প্রকল্পগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, ম্যানগ্রোভ বৃক্ষ রোপণ এবং কমিউনিটি ভিত্তিক বন অগ্নি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা।

ফ্রান্সের উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে, বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ইউরোর জলবায়ু নীতি ঋণ সহায়তা দিচ্ছে ফ্রান্স সরকার; জানিয়েছে বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়।

বৈঠকে ছিলেন; পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, ফ্রান্সের উন্নয়ন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সিসিলিয়া কর্টেজ এবং বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ফ্রান্সের দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।