ক্রেমলিন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী সোম ও মঙ্গলবার রাশিয়া সফর করবেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। গত মাসে রুশ কর্মকর্তারা প্রথম এই সফরের বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন, তবে আগে সফরের নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হয়নি।
ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গভীর ও মজবুত। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে ক্রেমলিন সেনাবাহিনী পাঠানোর পর থেকে মস্কোর অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে নয়াদিল্লির গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপানো নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার তেলের প্রধান ক্রেতা চীন ও ভারত।
মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে নিন্দা না করে বরং শান্তিপূর্ণ রফা-নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।
মস্কো ও নয়াদিল্লির মধ্যে অংশীদারিত্ব মজবুত হয়ে উঠেছে। তবে, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে রাশিয়া ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে শুরু করেছে।
পশ্চিমা জোটকে মোকাবিলা করতে মস্কো ও বেইজিং-এর তৈরি করা নিরাপত্তা বিষয়ক গোষ্ঠীর এক সম্মেলন বৃহস্পতিবার এড়িয়ে গেছেন মোদি।
কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক বৈঠকে মোদি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন। এই বৈঠকে যোগ দেন পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ভ্লাদিভস্তকের সুদূর পূর্বে এক অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে মোদি ২০১৯ সালে শেষবার রাশিয়া সফর করেছিলেন। তিনি শেষবার মস্কোতে গিয়েছিলেন ২০১৫ সালে। উজবেকিস্তানে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। ২০২১ সালে পুতিনও নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন এবং ভারতীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।
১৯৯০-এর দশকের শুরুতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রের প্রায় ৭০ শতাংশ, বিমান বাহিনীর সরঞ্জামের ৮০ শতাংশ ও নৌ ব্যবস্থার ৮৫ শতাংশের উৎস ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
২০০৪ সালে ভারত তাদের প্রথম বিমান বহনকারী জাহাজ (আইএনএস বিক্রমাদিত্য) কিনেছিল রাশিয়ার কাছে থেকে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পরে রুশ নৌবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করেছে এই ক্যারিয়ার।