ব্রিটেনের নির্বাচনে লেবার পার্টির বিশাল জয়, নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস (ডানে) কিয়ের স্টারমারের সাথে করমর্দন করছেন। লেবার পার্টি সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে রাজা লেবার পার্টির নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এবং নতুন সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। লন্ডন। ৫ জুলাই, ২০২৪।

এক দশকের বেশি সময় ধরে বিরোধী দলে থাকার পর লেবার পার্টির বিশাল বিজয়ের কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন কিয়ের স্টারমার।

বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সাথে আনুষ্ঠানিকতার পর স্টারমারকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়।

কনজারভেটিভ নেতা ঋষি সুনাক ও তার পরিবার সরকারি বাসভবন ত্যাগ এবং রাজা তৃতীয় চার্লস বাকিংহাম প্যালেসে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার পরপরই স্টারমার ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে দায়িত্ব নিচ্ছেন।

প্রায় সব ফলাফল মিলিয়ে লেবার পার্টি ৬৫০ আসনের হাউস অফ কমন্সে ৪১০টি এবং কনজারভেটিভরা ১১৮টি আসনে জয়লাভ করে।

স্টারমার বলেন, “এ ধরনের ম্যান্ডেট অনেক বড় দায়িত্ব নিয়ে আসে,” সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে স্টারমার বলেন, “বছরের পর বছর মোহভঙ্গের পর মানুষের আস্থা ফিরে পাওয়ার এই লড়াই আমাদের সময়কে সংজ্ঞায়িত করে।”

১৪ বছর ধরে কৃচ্ছতাসাধন, ব্রেক্সিট, মহামারী, রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি ও অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে ভোটাররা কনজারভেটিভদের যেন শাস্তি দিলো। এটি তাদের জন্য একটি বিপর্যয়।

এটি জনসাধারণের মেজাজ এবং সিস্টেমের প্রতি ক্ষোভের একটি চিহ্ন। আসন্ন সংসদ যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বিভক্ত এবং মতাদর্শগতভাবে বৈচিত্র্যময় হবে। মধ্যপন্থী লিবারেল ডেমোক্র্যাটস এবং ফারাজের রিফর্ম ইউকে-সহ ছোট ছোট দলগুলো লাখ লাখ ভোট পেয়েছে।

কনজারভেটিভ প্রচারণা ভুলভ্রান্তিতে জর্জরিত ছিল। প্রচারণার শুরুতে টেন ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে সুনাক ঘোষণা দেয়ার পর বৃষ্টিতে ভিজে গেলে এই প্রচারণাকে অশুভ বলে মনে করা হতে থাকে। এরপর ডি-ডের ৮০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রান্সে স্মরণসভা থেকে দ্রুত বাড়ি ফিরে যান সুনাক।

কনজারভেটিভ পার্টিতে সুনাকের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে যে তারা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আগে বাজি ধরার জন্য অভ্যন্তরীণ তথ্য ব্যবহার করেছিল।