উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছেন বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতির ফলে কয়েক দিন ধরে ঘরের ভেতর মাচা ও চৌকি উঁচু করে আশ্রয় নিয়েছেন কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। চৌকিতেই করতে হচ্ছে রান্না, চৌকিতেই রাত কাটাতে হচ্ছে তাদের। বাড়ির চারপাশে অথৈ পানিতে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে নারী, শিশুসহ সবার।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল গফুর জানান, তাঁর ইউনিয়নে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এতে ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হামিদ শেখ জানান, তাঁর ওয়ার্ডে প্রায় ১৫০ ঘরে পানি উঠেছে।
জানা গেছে এই ইউনিয়নে প্রায় ৮০০ পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
ফকিরের চরে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৮০টি পরিবার আশ্রয় নিলেও তারা বিশুদ্ধ পানির সমস্যায় ভুগছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি জানান, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী নৌবন্দর পয়েন্টে ৬৩ এবং ধরলার নদীর পানি কুড়িগ্রামের ব্রিজ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, বন্যাকবলিত কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, উলিপুর ও নাগেশ্বরীতে খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি ইতিমধ্যে দুর্গত এলাকায় ১ হাজার ২০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চালসহ অন্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া, ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটায় ১৫০ জন পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।