খান ইউনিসে তীব্র ইসরাইলি হামলা

ইসরায়েলি বিমান ও স্থল বাহিনীর অভিযানের সময় খান ইউনিসের কিছু এলাকা থেকে থেকে পালিয়ে যায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। (১ জুলাই, ২০২৪)

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মঙ্গলবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বশেষ নির্দেশ দেওয়ার একদিন পরই ইসরায়েল খান ইউনিসের ওপর বোমা হামলা চালায় ।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি বসতি লক্ষ্য করে ২০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল, খান ইউনিসের এমন একটি এলাকায় রাতভর বিমান হামলা চালিয়েছে। তাছাড়া, গাজার দক্ষিনাঞ্চলের রাফা শহরেও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি স্থল বাহিনীও গাজার মধ্যাঞ্চলে হামাসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান জারি রেখেছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “গাজার কোনো জায়গাই আর নিরাপদ নয়, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় আরও জোরদার প্রচেষ্টা দরকার”। খান ইউনিস থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নেবার নির্দেশ এটাই প্রমাণ করে।

ইসরায়েল বারবারই ফিলিস্তিনিদের গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সরে যাবার নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েল বলছে, আক্রমণের আগে বেসামরিক লোকদের রক্ষা করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। লড়াইয়ের পাশাপাশি একাধিকবার নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে পালাতে হয়েছে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে সেখানকার বাসিন্দা আহমাদ নাজ্জার বলেন, “লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশের পর আতঙ্ক ও চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। তাছাড়া, বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে।“

গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। হামাসের হামলায় ইসরায়েলের ১,২০০ মানুষ নিহত হয় এবং ২৫০ জনেরও বেশি জিম্মি হয়। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। তাছাড়া গাজার বেশিরভাগ অঞ্চলই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এ এফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া।