হাঙ্গেরিকে সমালোচকরা কর্তৃত্ববাদী, রাশিয়া বান্ধব সরকার হিসেবে বিবেচনা করেন। তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সত্ত্বেও সোমবার হাঙ্গেরি ইইউ-র রোটেটিং প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং “সৎ মধ্যস্থতাকারী” হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ২০১০ সাল থেকে মধ্য ইউরোপের দেশটিকে একটি “অনুদার গণতন্ত্রে” রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। প্রায়শই তিনি ব্রাসেলসের সাথে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার ইস্যুতে সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
তিনিই একমাত্র ইইউ নেতা যিনি ইউক্রেনে আগ্রাসন সত্ত্বেও রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তিনি কিয়েভে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকার করেন এবং যুদ্ধের কারণে মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বার বার সমালোচনা করেছেন।
গত বছর ইউরোপীয় পার্লামেন্ট গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে হাঙ্গেরির “পিছিয়ে পড়ার” বিষয়টি তুলে ধরে একটি বাধ্যবাধকতাহীন প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল এবং কীভাবে দেশটি ব্লকের ছয় মাসের প্রেসিডেন্সি “বিশ্বাসযোগ্যভাবে” গ্রহণ করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।
বুদাপেস্ট জোর দিয়ে বলেছে, তারা ২৭টি দেশের ব্লককে পরিচালনা করতে “দায়িত্ব ও কর্তব্য” গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
হাঙ্গেরির ইইউ বিষয়ক মন্ত্রী জানোস বোকা জুনের মাঝামাঝি সময় প্রেসিডেন্সির প্রোগ্রাম উন্মোচন করার সময় বলেন, “আমরা সৎ মধ্যস্থতাকারী হবো, সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং প্রতিষ্ঠানের সাথে অনুগতভাবে কাজ করবো।”
৬১ বছর বয়সী জাতীয়তাবাদী নেতা এখন আরও বেশি লড়াকু; তিনি জুনের শুরুতে ইউরোপীয় নির্বাচনের প্রচারণার সময় ‘ব্রাসেলস দখলের’ অঙ্গীকার করেন।
কিন্তু উগ্র ডানপন্থী দলগুলো লাভবান হলেও অরবানের ফিদেজ পার্টি বর্তমানে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টে তাদের জন্য উপযুক্ত কোনো দল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
রবিবার অরবান ঘোষণা করেন, তিনি অস্ট্রিয়ার কট্টর ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি (এফপিওই) এবং সাবেক চেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিসের মধ্যপন্থী এএনও পার্টির সাথে মিলে নিজস্ব দল গঠন করতে চান।
তাদের সাথে যোগ দিতে আরও অন্তত চারটি দেশ থেকে দল প্রয়োজন।