সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিট

বাংলাদেশ হাইকোর্ট

আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।

রিটে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর-সহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির বিবরণীর নিদের্শনা চেয়ে পিআইএল (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন) করার এফিডেভিটের অনুমতির জন্যে রবিবার (৩০ জুন) আবেদন করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী। পরে আদালত তাদের রিট করার অনুমোদন দেন।

রিটকারি আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি, ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘সরকারি র্কমচারী (আচরণ) বধিমিালা, ১৯৭৯’-এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের: ‘দুর্নীতি একটি বাস্তবতা’

এদিকে, গত ২৫ জুন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিশ্বজুড়েই দুর্নীতি একটি বাস্তবতা। এটি বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়।”

গত ২৫ জুন সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিআরটিসি শাটল বাস সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, “এখানে দুর্নীতি নেই বলে দাবি করছি না। শুধু সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতিবাজ ও রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিবাজ নন, এ কথা বলা ঠিক নয়।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি।

“আমরা যখন কথা বলি, তখন আমাদের অবশ্যই সবাইকে বিবেচনা করতে হবে, প্রথমে আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে হবে। আমি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি, আমার খাতেও দুর্নীতি আছে। এখানে নেই? অবশ্যই আছে;” যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

এ সময় তিনি দুর্নীতি দমনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।বলেন, “আমি মনে করি দুদক এখানে আছে এবং প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অবিচল।”

“সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়াই দুর্নীতির তদন্ত করছে দুদক। সরকার দুদকের এই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেনি এবং করবেও না;” জানান ওবায়দুল কাদের।