গঙ্গা চুক্তির আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানালো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

গঙ্গা চুক্তির আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানালো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আগামী ২০২৬ সালের পর গঙ্গা পানিচুক্তি নবায়ন সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি যোগাযোগ (চিঠি) পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের পর, চুক্তিতে তাদের (পশ্চিমবঙ্গের) খাবার পানি এবং শিল্পের পানির প্রয়োজনীয়তার কথা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

চলতি বছরের ৩১ মে অনুষ্ঠিত কমিটির শেষ বৈঠকে যোগ দিয়ে এই প্রয়োজনীয়তার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চুক্তি নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কাজ পরিচালনা করে ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পরের ধাপে গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে, মন্ত্রণালয় একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কা বাঁধে গঙ্গা/গঙ্গার পানি বণ্টনের জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছিলো; চুক্তিটি ত্রিশ বছরের জন্য বৈধ এবং তাই ২০২৬ সালে নবায়ণ করার বিষয়টি রয়েছে।

চুক্তির অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার জন্য ভারতেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে। সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিহার সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারও রয়েছে এই কমিটিতে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদের এই কমিটিতে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট কমিটিতে তাদের প্রতিনিধি মনোনীত করে।

অভ্যন্তরীণ কমিটি এ পর্যন্ত চারটি সভা করেছে। ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট প্রথমটি, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয়টি , তৃতীয়টি ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ এবং ২০২৪ সালের ৩১ মে শেষ বৈঠক করে কমিটি। কমিটি ২০২৪ সালের ১৪ জুনচূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যেটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষাধীন; আরো জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত চারটি বৈঠকের মধ্যে তিনটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন যুগ্ম সচিব, সেচ ও নৌপথ বিভাগ অথবা প্রধান প্রকৌশলী (নকশা ও গবেষণা), সেচ ও নৌপথ বিভাগ। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধি মনোনয়ন পাওয়ার পর অনুষ্ঠিত তিনটি সভায় অংশ নিয়েছিলেন তারা; জানায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।