‘মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ থাকলে গাজা ও রোহিঙ্গা সমস্যা রোধ করা যেতো’, বললেন হাছান মাহমুদ

গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৬তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দিচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ২৮ জুন, ২০২৪।

মুসলিম দেশগুলো আরো ঐক্যবদ্ধ থাকলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন রোধ করা যেতো বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৬তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।

উচ্চশিক্ষা লাভ করে শুধু নিজের জন্য নয়, দেশ, সমাজ ও বিশ্বমানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করতেও তরুণদের প্রতি আহবান জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

“সময়ের বিবর্তনে মানুষ আজ ক্রমেই স্বার্থপর হয়ে উঠছে। অন্যের কথা আর ভাবতে চায় না। এই অবক্ষয় থেকে সমাজকে ফিরিয়ে আনতে শিক্ষিত তরুণ সমাজকে অগ্রণী হতে হবে;” হাছান মাহমুদ বলেন।

তিনি আরো বলেন, মুসলিম দেশগুলো আরো ঐক্যবদ্ধ থাকলে, গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন রোধ করা যেতো। “চলমান সংঘাত বন্ধে ও সংঘাতমুক্ত বিশ্ব গড়তে বিশ্ব জনমত তৈরিতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে;” যোগ করেন হাছান মাহমুদ

হাছান বলেন, জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র এবং স্বপ্ন আর প্রচেষ্টা এই যুদ্ধজয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের উক্তি উদ্ধৃত করে হাছান মাহমুদ বলেন, যে স্বপ্ন মানুষকে ঘুমাতে দেয় না, সেই স্বপ্ন আর স্বপ্নজয়ের প্রচেষ্টা একাকার হলে বিপুল বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় শক্তির উদ্ভব হয়। আর এই শক্তি অপ্রতিরোধ্য।

বাংলাদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য,অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনকে (ওআইসি) ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আইইউটি আজ দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষায় এক অনন্য বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। “সামনের দিনগুলোতে আইইউটি 'সেন্টার অফ এক্সিলেন্স' হিসেবে তার অবস্থান অক্ষুণ্ণ রাখবে বলে আমি আশাবাদী;” আরো বলেন তিনি।

আইইউটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওআইসির সহকারী মহাসচিব ড. আহমদ কাওয়েসা সেনজেনডো।