যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক অস্ত্র একাধিক ওয়ারহেড ধারণকারী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় অগ্রগতি দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া।
রাষ্ট্র পরিচালিত কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানায়, বুধবার উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় “পৃথক মোবাইল ওয়ারহেডগুলোর পৃথকীকরণ এবং নির্দেশিকা নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা সফলভাবে পরিচালনা করেছে।”
কেসিএনএ জানায়, একাধিক স্বাধীনভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া রিএন্ট্রি যানবাহন বা এমআইআরভির সক্ষমতা নিশ্চিত করতেই এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত হলে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের একাধিক ওয়ারহেডসহ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির লক্ষ্যের দিকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ছাপিয়ে যেতে পারে।
‘অতিরঞ্জন’ বলছে দক্ষিণ কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী প্রাথমিকভাবে এই উৎক্ষপণকে ব্যর্থতা হিসেবে উল্লেখ করে। তারা জানায়, উড্ডয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে মাঝ আকাশে বিস্ফোরণ ঘটে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের একজন মুখপাত্র উত্তর কোরিয়ার দাবিকে “প্রতারণা এবং অতিরঞ্জন” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জেসিএস মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের ওয়ারহেড সাধারণত অবতরণের পর্যায়ে আলাদা হয়ে যায়, তবে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি উড্ডয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয়।
ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার দুর্দশা
উত্তর কোরিয়া এর আগে এমআইআরভি’র বিভিন্ন অংশের পরীক্ষা চালিয়েছে, যার মধ্যে একাধিক ওয়ারহেড নিশানা করার সিস্টেমস ছিল। তবে সর্বশেষ উৎক্ষেপণটি একাধিক ওয়ারহেডের পাশাপাশি ডিকয় ব্যবহার করে আরও এগিয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। এটির লক্ষ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢালকে বিভ্রান্ত করা।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য ডিজাইন করা ৪৪টি ইন্টারসেপ্টরসহ একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল দ্বারা সুরক্ষিত। সেই সংখ্যা বেড়ে ৬৪-এ দাঁড়াবে। বিশ্লেষকদের মতে, একাধিক ওয়ারহেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার আগেও এগুলোর ভুল করার জায়গা সীমিত ছিল।
এভেলেথ বলেন, এমআইআরভির ব্যবহারের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার “যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দমন করার অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।