মিয়ানমারে আরাকান আর্মি জনপ্রিয় পর্যটন সৈকত শহর দখল করেছে

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের সময় মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের টেকনাফ এলাকা থেকে মিয়ানমারের অবকাঠামোর দৃশ্য। ফটোঃ ২৪ জুন, ২০২৪।

মিয়ানমারের একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় সৈকত রিসোর্ট শহরটি দখল করে নিয়েছে, নিকটবর্তী একটি বিমানবন্দরে জান্তা সেনারা লুকিয়ে রয়েছে। সামরিক ও স্থানীয় সূত্র মঙ্গলবার এএফপিকে একথা জানায়।

নভেম্বরে আরাকান আর্মি বার্মিজ সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর থেকে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষ চলছে। নভেম্বরের আক্রমণের ফলে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মূলত যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটে।

কয়েকদিন ধরে রাজ্যের দক্ষিণে নাগাপালি সৈকতের চারপাশে লড়াই চলছে, যেখানে ভারতীয় মহাসাগরের তীরে নারিকেল গাছ ঘেরা পরিষ্কার বালুর বিচে কয়েকটি অভিজাত রিসোর্ট ছড়িয়ে আছে।

সেদিন পালিয়ে যাওয়া এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, সৈকত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে থান্ডওয়ে শহর, যেখানে স্থানীয় বিমানবন্দর অবস্থিত, সোমবার পর্যন্ত অনেকটাই জনশূন্য ছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সামরিক সূত্র এএফপিকে জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী বিমানবন্দরের দিকে পিছু হটে গেছে এবং এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তোলা ছবিতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানুষ চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। ফটোঃ ২৪ জুন, ২০২৪।

স্থানীয় এক হোটেল মালিক এএফপিকে বলেন, তার কর্মীরা জানিয়েছে, সোমবার বিমানবন্দরের কাছে সামরিক বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে।

তার কর্মীরা তাকে বলেন, বিমানবন্দর ভবনের ভেতরে কিছু সেনা ও পুলিশ আটকা পড়ে আছে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এএফপি জান্তা মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। তারা আরাকান আর্মির মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করেছে।

আরাকান আর্মি যোদ্ধারা ওই এলাকায় হামলা শুরু করায় চলতি মাসের শুরু থেকে থান্ডওয়ে বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নাগাপালির অনেক হোটেল ও রিসোর্টের মালিক জান্তার সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অথবা সামরিক বাহিনীর বিস্তৃত ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের অংশ যার মধ্যে রত্ন, পর্যটন, তামাক এবং রিয়েল এস্টেট রয়েছে।

নভেম্বরে আক্রমণ শুরুর পর থেকে আরাকান আর্মি ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের এলাকা দখল করে নিয়েছে, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশজুড়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময় জান্তার উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে।