বাংলাদেশ ও ভুটান পরিবেশ ও জ্বালানি সহযোগিতা জোরদার করবে, জানালেন সাবের চৌধুরী

ভুটানের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী জেম শেরিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

বাংলাদেশ ও ভুটান পরিবেশ ও জ্বালানি সহযোগিতা জোরদার করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভুটানের থিম্পুতে, দেশটির জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী জেম শেরিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী ।

“আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে। সহযোগিতার মাধ্যমে, আমরা যে কোনো বাধা অতিক্রম করতে পারি এবং আমাদের জাতি এবং বিশ্বের জন্য একটি উজ্জ্বল, সবুজ ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারি;” বলেন সাবের চৌধুরী।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষার জন্য চূড়ান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা সকলের কর্তব্য বলে উল্লেখ করেন করেন তিনি।

সাবের হোসেন চৌধুরী, সাউথ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম(এসএসিইপি) এর বিদায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে, সংস্থার নতুন চেয়ারম্যান, ভুটানের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী জেম শেরিং-কে অভিনন্দন জানান।

আগামী জুলাইয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠেয়, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের পরিবেশমন্ত্রীদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য জেম শেরিংকে আমন্ত্রণ জানান সাবের চৌধুরী ।

ভুটান সফরের জন্য সাবের হোসেন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জেম শেরিং বলেন, “টেকসই উন্নয়নের জন্য ভুটান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বৈঠক পরিবেশগত স্টুয়ার্ডশিপ এবং জ্বালানি সহযোগিতা জোরদার করার জন্য আমাদের যৌথ প্রচেষ্টার একটি পদক্ষেপ-কে তুলে ধরে।”

বৈঠকে, পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, টেকসই জ্বালানি চর্চা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে উভয় দেশের অভিন্ন অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। উভয় মন্ত্রী বন সংরক্ষণ, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন এবং জলবায়ু-সহনশীল কৌশল বাস্তবায়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন।

এর আগে, ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য, কর্মসংস্থান ও পর্যটনমন্ত্রী নামগিয়াল দর্জির সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক করেন সাবের চৌধুরী।