গাজার শিবিরে ইসরায়েলের তীব্র হামলা, রাফায় আগ্রাসন বৃদ্ধি

রাফায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের পাশে শোকার্তরা প্রার্থনা করছেন। ১৯ জুন, ২০২৪।

ইসরায়েল বাহিনীর গাজার মধ্যাঞ্চলে রাতভর হামলায় তিনজন নিহত ও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে রাফার দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, ওই অঞ্চলে ট্যাংক দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।

ইসরায়েলি বিমানগুলো আল-নুসেইরাত শিবিরের একটি বাসায় হামলা চালালে দুজন নিহত ও ১২ জন আহত হয় বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নুসেইরাত, মাগাজি এবং বুরেইজ গাজার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের মধ্যে তিনটি।

গাজার মধ্যাঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষ অধ্যুষিত দেইর আল-বালাহ শহরে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধের আট মাসের বেশি সময় পর ইসরায়েলের অগ্রযাত্রা এখন শেষ দুটি এলাকায় নিবদ্ধ রয়েছে যেখানে তাদের বাহিনী এখনো আক্রমণ করেনি- গাজার দক্ষিণ প্রান্তে রাফা এবং কেন্দ্রস্থলে দেইর আল-বালাহ-র আশেপাশের অঞ্চল। মে মাস থেকে এই অভিযানের ফলে ১০ লাখের বেশি মানুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এদের অধিকাংশ ছিটমহলের অন্যান্য অংশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

মিশর সীমান্তের নিকটবর্তী রাফা শহরের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে মোতায়েন ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো বোমাবর্ষণ জোরদার করেছে, যার ফলে দূরবর্তী উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত আরও পরিবার উত্তর দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিছু বাসিন্দা জানান, গত দু দিনে অভিযানের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে।

গত ৭ মে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার ভেতরে স্থল অভিযান শুরু করার আগ পর্যন্ত রাফায় গাজার ২৩ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে এখন এক লাখের কম মানুষ সেখানে অবস্থান করছে বলে।

যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের প্রচেষ্টা ইসরায়েল ও হামাসকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে ব্যর্থ হওয়ায় লড়াই থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।