পেন্টাগনের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি জানায়, তাইওয়ানের কাছে সম্ভাব্য ৩৬ কোটি ডলারের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বেইজিং-এর ক্রমাগত ক্ষোভের মুখে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কের অভাব সত্ত্বেও চীনের দাবিকৃত তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার উপায় সরবরাহ করতে যুক্তরাষ্ট্রের আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
চীন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক চাপ বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে গত মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে লাই চিং তে-র অভিষেকের পর দ্বীপটির চারপাশে যুদ্ধের মহড়ার আয়োজন করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে পৃথক বিবৃতিতে পেন্টাগন দপ্তর বলেছে, এই বিক্রয় গ্রহীতার নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং এই অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
যে সব সামরিক পণ্য বিক্রি করা হবে তার মধ্যে রয়েছে সুইচব্লেড ৩০০ অ্যান্টি-পার্সোনেল এবং অ্যান্টি-আর্মার লোয়টারিং যুদ্ধাস্ত্র এবং এই সংক্রান্ত ৬ কোটি ২ লাখ ডলারের সরঞ্জাম; অ্যালটিয়াস ৬০০ এম-ভি গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র যা আক্রমণ করার নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তু অঞ্চলের চারপাশে উড়তে পারে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিশেষ করে দ্বীপটিতে অস্ত্র বিক্রয় বৃদ্ধির যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। তাইওয়ান বারবার বিলম্বিত সরবরাহের অভিযোগ করেছে।
তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, “তাইওয়ানের চারপাশে চীনা কমিউনিস্টদের ঘন ঘন সামরিক অভিযানের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্ত্রগুলো সঠিক সময়ে সনাক্ত এবং আঘাত করার ক্ষমতা রাখবে এবং শত্রুর হুমকির দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে।”
মন্ত্রণালয় আরও বলে, তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য চীনের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
“আশা করা যায়, পিপলস লিবারেশন আর্মি তাইওয়ানের চারপাশে তাদের দমনমূলক সামরিক অভিযান বন্ধ করবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে যৌথভাবে অবদান রাখবে।”